
মালদহ: কাঁটাতারের বেড়া না থাকার কারণেই যত সমস্যা। সহজে বাংলায় ঢুকে পড়ছে জঙ্গিরা। রাজ্য সরকারের অসহযোগীতার জন্য কাঁটাতার দেওয়া যাচ্ছে না। ফের বিস্ফোরক বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর। চর্চা শুরু মালদহের রাজনীতির আঙিনায়। প্রসঙ্গত, কাশ্মীরে জঙ্গি হানার জেরে সম্প্রতি ভারত-পাক সম্পর্ক একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। দিকে দিকে উঠেছে বদলার রব। ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে হাঁটু কাঁপা শুরু হয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের। এরইমধ্যে সমস্ত পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল করে দিয়েছে ভারত। একইসঙ্গে ভারতে থাকা পাকিস্তানিদের দেশে ফিরে যাওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই আবহে খগেন মুর্মুর মন্তব্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
এদিকে ভারত-বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে সবথেকে বেশি অংশ গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের পাশ দিয়েই। কিন্তু, একটা বড় অংশে এখনও পর্যন্ত কাঁটাতার নেই। সেখানেই অনুপ্রবেশের চিন্তা বরাবরই মাথা ব্যথার কারণ সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর। বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ভারতের বিরুদ্ধেও তোপের পর তোপ উড়ে এসেছে। ছেড়ে কথা বলেনি ভারতও। ওই আবহে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে কড়া নজর রাখতে শুরু করেছিল বিএসএফ। অশান্তির আগুনে নতুন করে ঘি ঢেলেছে পাকিস্তান। এদিকে মালদহে সীমান্তে ১৮ কিলোমিটার কাঁটাতার নেই। তাতেই বেড়েছে চিন্তা।
পাকিস্তানিদের দ্রুত তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানোর দাবি সামনে রেখে সোমবার সব জেলায় জেলাশাসকের দফতর অভিযানের ডাক দিয়েছে বিজেপি। এদিন তা নিয়েই জেলায় জেলায় সাংবাদিক বৈঠক করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানেই কাঁটাতারহীন সীমান্ত নিয়ে বারবার ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় খগেনকে। অনুুপ্রবেশ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। খগেন বলছেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন আমরা রাজ্য সরকারের অসহযোগিতার কারণে কাজ করতে পারছি না। রাজ্য জায়গা দিচ্ছে না বলেই কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া যাচ্ছে না। মালদহে ১৮ কিলোমিটার এলাকায় মালদহে বেড়া দেওয়া যায়নি। এর ফলে অবাধে জঙ্গিরা, জেহাদিরা এপারে চলে আসছে।”