Malda: একটানা কেঁদেই চলেছে ছোট্ট মেয়েটি, মা প্রশ্ন করতে ফাঁস প্রতিবেশী দাদার কুর্কীর্তি
Women harassment: মোবাইলে কার্টুন দেখানোর প্রলোভন দেখায় অভিযুক্ত।
মালদা: মোবাইলে কার্টুন দেখানোর নাম করে নিজের বাড়ি নিয়ে গিয়ে এক নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন প্রতিবেশী যুবকের। বর্তমানে শারীরিক যন্ত্রণা নিয়ে অসুস্থ ওই নাবালিকা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
মালদার (Malda)ঘটনা। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই নাবালিকা বর্তমানে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মাতৃমা বিভাগে চিকিৎসাধীন। জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকা এক প্রতিবেশীর বাড়িতে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যায়। সেখান থেকেই আর এক প্রতিবেশী যুবক তাকে ডেকে নিয়ে যায় বাড়িতে।
মোবাইলে কার্টুন দেখানোর প্রলোভন দেখায় অভিযুক্ত। বাচ্চাটিও কিছু না বুঝে চলে তার বাড়ি। এরপরই ওই যুবক যৌন নির্যাতন করে নাবালিকার উপর। পরে বাড়িতে বিষয়টি জানালে খুন করার হুমকি দেয় নাবালিকা সহ তার পরিবারের লোকেদের। সেই ভয়ে বাড়ি ফিরে নাবালিকা মুখ খোলেনি।
কিন্তু গতকাল ঘরে ঘুমিয়ে থাকার সময় নাবালিকার মা লক্ষ করেন তার মেয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। এরপরে মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সমস্ত ঘটনা জানতে পারেন। বিষয়টি প্রতিবেশীরা জানতে পারলে অভিযুক্ত যুবককে হাতেনাতে ধরে পাড়ার ক্লাব এর মধ্যে আটক করে রাখে।জানানো হয় স্থানীয় কাউন্সিলরকে। স্থানীয়রাই ইংরেজবাজার থানায় খবর দিলে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে রাজধানি দিল্লিতেও এই ধরনের ঘটনা ঘটে। দিল্লির প্রসাদ নগর থানার সন্নিকটে এই ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে। ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বছর ২৫-এর যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরই ওই যুবককে ঘিরে ধরে গণপিটুনি দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ জানিয়েছে, পকসো আইনে ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত যুবকের নাম দীপেশ। নির্যাতিতা নাবালিকার এলাকাতেই একটি জিন্স তৈরির কারখানায় সে কাজ করত। মেয়েটি মাঝে মধ্যেই খেলতে খেলতে ওই জিন্স কারখানার কাছে চলে যেত, এবং প্রায়ই ওই যুবক চকোলেটের লোভ দেখিয়ে তাকে ডাকত। পুলিশ জানিয়েছে, একই ভাবে চকোলেটের প্রলোভন দেখিয়ে বাচ্চা মেয়েটিকে জিন্স ফ্যাক্টরির ভিতরে ঢুকিয়ে নেয় দীপেশ। তারপরই সে ন্যক্কারজনক সেই ঘটনা ঘটায়।
ঘটনার পরই কাঁদতে কাঁদতে নাবালিকা মেয়েটি নিজের পরিবারের কাছে সব খুলে বলে। তৎক্ষণাৎ থানায় গিয়ে অভিযুক্ত দীপেশের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবার। এরপর পাড়া প্রতিবেশী মিলে তাকে গণপিটুনি দেওয়া শুরু হয়। ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।