AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

EXCLUSIVE: অধীরের উল্টো গাইছেন ডালু! বাম ছেড়ে ‘চার হাত’ এক করতে তৃণমূলকেই চান

Congress: প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে বাংলার কংগ্রেস বামেদের সঙ্গে চলতে যে অনেক বেশি স্বচ্ছন্দ্য, তা বারবারই ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রদেশ নেতা। বামেরাও গত কয়েক বছরে ডানপন্থীদের ক্ষেত্রে অনেকটাই 'নমনীয়'। সে কারণেই 'আদর্শগত ছুঁৎমার্গ'কে দূরে ঠেলে ২০২১ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে হাতে হাত মেলাতে দেখা যায় বিমান বসু, মহম্মদ সেলিমদের।

| Edited By: | Updated on: Dec 28, 2023 | 4:13 PM
Share

কলকাতা: বাম-কংগ্রেস বোঝাপড়ায় ঢিল ছুড়লেন আবু হাসেম খান চৌধুরী ওরফে ডালু। ‘বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গেই জোট চাই’, এমন দাবিই শোনা গেল ডালুবাবুর গলায়। অর্থাৎ প্রদেশ কংগ্রেসের একেবারে উল্টো সুর মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রে কংগ্রেসের পর পর তিনবারের সাংসদের গলায়। তৃণমূলের সঙ্গেই জোটের পক্ষে জোর সওয়াল ডালুবাবুর।

আবু হাসেম খান চৌধুরী বলেন, “অবশ্যই তৃণমূলের একটা ভাল পার্সেন্টেজ এখানে আছে। সিপিএমের সেটা নেই। আমাদের যেসব জায়গায় কংগ্রেস ভাল আছে, সেটা তো ভালই। তার সঙ্গে তৃণমূল যুক্ত হলে আরও ভাল হবে। আমরা সে আশাতেই আছি এবং আমাদের লোককেও বলছি, যদি জোট হয় এরকমভাবেই করতে হবে।” যে শক্তিটা তৃণমূলের আছে, তা সিপিএমের নেই বলেই স্পষ্ট মন্তব্য করেন মালদহ জেলার বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস সাংসদ। অর্থাৎ ‘শক্তিহীন’ সিপিএমের সঙ্গে জোটে সায় নেই তাঁর। সাংসদের কথায়, ‘তৃণমূলের সঙ্গে জোট করলেই কংগ্রেসের মঙ্গল’।

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে বাংলার কংগ্রেস বামেদের সঙ্গে চলতে যে অনেক বেশি স্বচ্ছন্দ্য, তা বারবারই ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রদেশ নেতা। বামেরাও গত কয়েক বছরে ডানপন্থীদের ক্ষেত্রে অনেকটাই ‘নমনীয়’। সে কারণেই ‘আদর্শগত ছুঁৎমার্গ’কে দূরে ঠেলে ২০২১ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে হাতে হাত মেলাতে দেখা যায় বিমান বসু, মহম্মদ সেলিমদের। ইন্ডিয়া জোটের একাধিক বৈঠকের পরও, বাংলায় এসে অধীর চৌধুরীর গলায় তৃণমূল বিরোধী স্বর শোনা গিয়েছে বারবার। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এ রাজ্যে তাদের লড়াই বিজেপি এবং তৃণমূলের সঙ্গেই।

তবে কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা আবু হাসেম খান চৌধুরীরা কোনওভাবেই বামেদের উপর ভরসা রাখতে নারাজ। বরং তৃণমূলের ক্ষেত্রে তাঁরা অনেক বেশি স্বচ্ছন্দ্য। সে কারণেই বোধহয়, লোকসভা ভোটের আবহে ডালুবাবুদের মতো নেতারা মুখের উপর বলে দিচ্ছেন, জোটে বামেদের থাকা জরুরি নয়, কারণ ওদের ভোটার নেই, শক্তি নেই। শক্তি আছে তৃণমূলের।

শুধু সমতল নয়, দার্জিলিংয়েও কংগ্রেস প্রার্থী দিলে আর তৃণমূলের সমর্থন থাকলে ভাল ফল হবে বলে জানান আবু হাসেম খান চৌধুরী। তিনি জানান, রাজ্যে ৫টি আসন চেয়েছে কংগ্রেস। তবে ৫ এ ৫ না হলেও, তৃণমূলের সঙ্গে জোটের পক্ষেই সায় দেন তিনি। বার বার তিনি একথাই বুঝিয়ে দিলেন রাজ্যে শক্তিশালী তৃণমূল। রাজ্যের বাম ও কংগ্রেসের প্রথম সারির অনেক নেতাই যেখানে পশ্চিমবঙ্গে জোট বিতর্কে তৃণমূলকে এখনও বিঁধে চলেছেন, সেখানে একেবারেই উল্টো সুর ডালুবাবুর।