Malda ICDS: নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ, তুলকালামকাণ্ড মালদহে

Malda ICDS: অভিযোগ,কেন্দ্রের কর্মী মমিনা খাতুন দীর্ঘদিন ধরে শিশুদের নিম্নমানের খাবার দিচ্ছেন। কখনও দেওয়া হচ্ছে পচা আলু বা সবজি, কখনও আবার পচা ডিম। এমনকি অনেক সময় বিভিন্ন অজুহাতে কেন্দ্র বন্ধ রাখা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে।প্রায় দেড় বছর ধরে এই অনিয়ম চলছে বলে দাবি করেছেন গ্রামবাসীরা।

Malda ICDS: নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ, তুলকালামকাণ্ড মালদহে
ICDS কেন্দ্রে বিক্ষোভImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Oct 11, 2025 | 6:45 PM

মালদহ: নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরে। শনিবার দুপুরে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভক্তিপুর গ্রামে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রকে ঘিরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামেরই এক বাড়িতে বহুদিন ধরে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি চালু রয়েছে।

অভিযোগ,কেন্দ্রের কর্মী মমিনা খাতুন দীর্ঘদিন ধরে শিশুদের নিম্নমানের খাবার দিচ্ছেন। কখনও দেওয়া হচ্ছে পচা আলু বা সবজি, কখনও আবার পচা ডিম। এমনকি অনেক সময় বিভিন্ন অজুহাতে কেন্দ্র বন্ধ রাখা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে।প্রায় দেড় বছর ধরে এই অনিয়ম চলছে বলে দাবি করেছেন গ্রামবাসীরা। শনিবার দুপুরে যখন শিশুদের খাবার বিতরণের সময় আসে, শেষের দিকে কয়েকজন খাবার নিতে গেলে তখন কর্মী মমিনা খাতুন তাঁদেরকে খাবার দিতে অস্বীকার করেন বলেন, খাবার শেষ হয়ে গিয়েছে।

কিন্তু সেই সময়ই স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পান রাঁধুনি চুপিসারে কিছু খাবার বাইরে নিয়ে যাচ্ছেন।সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি নজরে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। মুহূর্তের মধ্যেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র এলাকায়।

বিক্ষোভকারী আব্দুল মালেক বলেন, “আমাদের গ্রামের ছোট ছোট বাচ্চাদের জন্য যে খাবার সরকার থেকে দেওয়া হয়,তা যদি পচা হয় বা কেউ বাইরে বিক্রি করে দেয়,তাহলে এটা চরম অন্যায়।খাবার সঠিক নয় এবং নিম্নমানের খাবার দেওয়া হচ্ছে।বারবার বলা সত্ত্বেও কোন কর্ণপাত করেনি। আমরা চাই এর তদন্ত হোক।”

আরেক বিক্ষোভকারী নুরবানু বিবি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমাদের সন্তানদের পচা খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। অনেক সময় সেন্টার বন্ধ থাকে। বারবার বলার পরেও কোনও ফল হয়নি। আজ আমরা প্রশাসনের কাছে ন্যায় চাই।”

ভক্তিপুর গ্রামের বাসিন্দা সমিদুল বলেন, “প্রায় দেড় বছর ধরে আমরা এই ধরনের অনিয়ম দেখছি। অনেকবার স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আজ আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গিয়েছে।”

এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের সিডিপিও আব্দুস সাত্তার বলেন, “ঘটনাটি আমাদের নজরে এসেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। প্রাথমিকভাবে তদন্ত শুরু হয়েছে। যদি কোনও অনিয়ম প্রমাণিত হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্মীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”