মালদা: এ যেন রুদ্ধশ্বাস ক্রাইম থ্রিলার! মালদা কাণ্ড নিয়ে আপাতত এই বিশেষণটিই উপযুক্ত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ষোলমাইন গ্রামে, দেড় বিঘা জমির উপর আসিফের বাড়ির পরতে পরতে রয়েছে রহস্য। তদন্তে নেমে সিসিক্যামেরা ও গোপন সুড়ঙ্গের খোঁজ আগেই পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। এ বার বাড়ির সেই গুদাম থেকেই মিলল আসিফের মা-বাবা-বোন ও ঠাকুমার পচাগলা কঙ্কালসার দেহ।
পুলিশ জানিয়েছে, গোডাউনেই মাটির তলায় সিমেন্ট বালি দিয়ে চাপা দেওয়া ছিল দেহগুলি। কিন্তু কীভাবে খুন করা হয়েছিল তাঁদের তা নিয়ে ধন্দে ছিলেন তদন্তকারীরা। খুনের পদ্ধতি জানতে পেরে হতবাক গোয়েন্দারাও। পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় ধৃত আসিফ স্বীকার করেছে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে নিজের মা, বাবা, বোন, দাদা আর ঠাকুমাকে কোল্ডড্রিংঙ্কসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে দেয়। ওষুধের প্রভাবে তাঁরা আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে তাঁদের ওই গোপন সুড়ঙ্গপথে গুদামে নিয়ে আসে আসিফ। সেখানে একটি জলের চৌবাচ্চা বানিয়ে সেইখানে পাঁচজনের দেহ চুবিয়ে রাখা হয়। তখনই কোনওরকমে জ্ঞান ফিরে পান আরিফ। সঙ্গে সঙ্গে তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। ওই মুহূর্তে ভাইয়ের সঙ্গে কার্যত মারপিট করে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান আরিফ। দাদাকে মারতে না পারলেও পরিবারের বাকি সদস্যদের ওইভাবেই জলে চুবিয়ে রাখার পর সিমেন্ট বালি চাপা দিয়ে মাটিতেই প্রায় জ্যান্ত কবর দেয় আসিফ।
তারপর ওই বাড়িতেই থাকছিল সে। আসিফের দাদা আরিফ জানিয়েছেন, তাঁকেও খুন করার চেষ্টা করেছিল আসিফ। কিন্তু কোনওরকমে তিনি পালিয়ে বাঁচেন। তবে এই খুনের পেছনে কী কারণ তা এখনও স্পষ্ট নয় তদন্তকারীদের কাছে। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: Update:সিসিক্যামেরা কেবল নয়, আসিফের বাড়িতে গোডাউনের মধ্যে পাওয়া গেল গোপন সুড়ঙ্গ!