Malda Murder: হাড় হিম করা হত্যাকাণ্ডে ৭০ দিনের মাথায় আসিফের বিরুদ্ধে চার্জশিট পুলিশের

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঋদ্ধীশ দত্ত

Aug 28, 2021 | 11:40 AM

চারজনের দেহ উদ্ধার হওয়ার ৭০ দিনের মাথায় গতকাল ২৭৩ পাতার চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। সূত্রের খবর, ধৃত আসিফের বিরুদ্ধে খুন-সহ তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

Malda Murder: হাড় হিম করা হত্যাকাণ্ডে ৭০ দিনের মাথায় আসিফের বিরুদ্ধে চার্জশিট পুলিশের
আসিফ মহম্মদ, নিজস্ব চিত্র

Follow Us

মালদা: নিজের পরিবারের ৪ সদস্যকেই নিশৃংসভাবে হত্যা করেছিল কালিয়াচকের যুবক মহম্মদ আসিফ। সূত্রের খবর, এ বার সেই মামলায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দিল পুলিশ। বাবা, মা, ঠাকুমা এবং বোন; এই চারজনকে খুন করে গুদামে পুঁতে রাখার অভিযোগ উঠেছিল আসিফের বিরুদ্ধে। চারজনের দেহ উদ্ধার হওয়ার ৭০ দিনের মাথায় গতকাল ২৭৩ পাতার চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। সূত্রের খবর, ধৃত আসিফের বিরুদ্ধে খুন-সহ তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, মোট ৪৪ জন সাক্ষীর বয়ান উল্লেখ রয়েছে এই চার্জশিটে। মামলার শুনানির জন্য স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর চেয়ে আদালতে আবেজন জানানো হয়েছে। আদালত সেই আবেদনও মঞ্জুর করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩০২, ৩০৭ এবং ২০১ ধারায় আসিফের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে সেই চার্জশিটে। মামলার বিচার হয়ে খুব শীঘ্রই সাজা ঘোষণা সম্ভব হবে বলেও আশা করছেন মালদা পুলিশের তদন্তকারী কর্তারা।

আসিফের মা-বাবার পোস্টমর্টেম রিপোর্ট অনুযায়ী, খুনের সময়ে আসিফের সঙ্গে তার মা-বাবার ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়। প্রাণে বাঁচতে অচৈতন্য অবস্থাতেই ছেলের সঙ্গে তাঁদের প্রত্যক্ষ সংঘর্ষ হয়। কিন্তু যুঝতে পারেননি। ওই সময়েই আসিফ নিজের মা-বাবাকে গলা টিপে খুন করে। তার মা-বাবার গলায় শ্বাসরোধ করে খুন করার চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে।

কিন্তু যতবারই আসিফকে জেরা করা হয়, খুনের ঘটনার বর্ণনা দিতে বলা হয়, প্রতিবারই আসিফ জানায়, ওইদিন মা-বাবা-বোন-ঠাকুমাকে ঠাণ্ডা পানীয়ে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচৈতন্য করে দেয়। তারপর, বাড়ির সংলগ্ন গুদামঘরে চৌবাচ্চায় চুবিয়ে রেখে সেখানেই পাশে মাটি খুঁড়ে প্রায় জ্যান্ত মাটিতে পুঁতে দেয়। চুন, বালি, সুড়কি দিয়ে গেঁথে দেয় মেঝেও। কিন্তু শ্বাসরোধ করে খুন করার কথা একবারও স্বীকার করেনি আসিফ।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মা-বাবা-বোন-ঠাকুমাকে খুন করে নিজের বাড়ির গুদামেই মাটিতে পুঁতে দেয় ধৃত ১৮ বছরের যুবক আসিফ মহম্মদ। এরপর গত জুলাই মাসে আসিফের দাদা আরিফের অভিযোগের ভিত্তিতে আসিফকে গ্রেফতার করে পুলিশ। চলে জিজ্ঞাসাবাদ। তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা দেখেন শুধু খুন নয়, একাধিক অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত আসিফ। সময় যত গড়াতে থাকে, উঠে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এমনকী, আসিফের বাড়িতে নানা জায়গায় বেশ কিছু সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। যা রহস্যের জাল আরও ঘনীভূত করে। ঘটনায় আগেই আসিফের মামা শিস মহম্মদ, দাদা আরিফ মহম্মদ ও কাকা মর্তুজা আলীকে আগেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল পুলিশ। যদিও, খুনের ব্যাপারে আসিফের মামা ও কাকা কিছুই জানতেন না বলে গোয়েন্দাদের জানিয়েছিলেন তাঁরা। আরও পড়ুন: তদন্তে যেতেই ঘিরে ধরল একদল, খুলে দেওয়া হল সিবিআইয়ের গাড়ির চাকার হাওয়া

 

Next Article