Maldah: ডাইনি অপবাদে মহিলার দু’কানে লোহার শিক ঢুকিয়ে অর্ধনগ্ন করে নির্যাতনের অভিযোগ

Maldah: যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্তরা পলাতক।  ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের বিজেপির প্রধান এবং মালদহ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপির বিধায়ক গোপাল চন্দ্র সাহা। তাঁদের অভিযোগ, ঘটনায় তৃণমূল নেতা জড়িত রয়েছে বলেই আড়াল করার জন্যই পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি।

Maldah: ডাইনি অপবাদে মহিলার দু'কানে লোহার শিক ঢুকিয়ে অর্ধনগ্ন করে নির্যাতনের অভিযোগ
নির্যাতিতাImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 31, 2024 | 3:49 PM

মালদহ:  গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যা দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ। কোনও ওষুধই কাজ করছে না। এবার সন্দেহ গিয়ে পড়ে গ্রামের এক মহিলার ওপর। গুজব রটে তিনিই নাকি ডাইনি। আর সেই অপবাদেই সেই মহিলার ওপর অকথ্য নির্যাতনের অভিযোগ। দুই কানে লোহার শিকের খোঁচা দেওয়ার অভিযোগ।  কাঠগড়ায় সেই পঞ্চায়েত সদস্যা ও তাঁর স্বামী। এমনকি অর্ধনগ্ন করে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদহে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা দিয়েছে, গ্রামের ওই পঞ্চায়েত সদস্যা বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগছিলেন। এরপরই সন্দেহ গিয়ে পড়ে গ্রামের নির্যাতিতা ওই মহিলার ওপর। অভিযোগ,  তৃণমূলেই লোকজন ওই মহিলাকে পাশের গ্রামের এক গুণিনের কাছে নিয়ে যান৷ সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় প্রতিবেশী আরও এক মহিলাকে৷ অভিযোগ, অনেকটা সময় ধরে তুকতাকের পর গুণিন ওঝা ওই মহিলার দুই কানে লোহার শিকের খোঁচা দিয়ে তাঁকে আরও একবার ডাইনি ঘোষণা করেন৷

এরপরেই পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী ও দলের লোকজন মহিলাকে বেধড়ক মারধর করা শুরু করেন বলে অভিযোগ৷ পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী ওই মহিলার গলা টিপেও খুনের চেষ্টাও করেন৷ তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে ব্যাপক মার খেতে হয় তাঁর প্রতিবেশীকেও৷ পরদিন ফের তাঁদের দু’জনকে অর্ধনগ্ন করে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ৷ অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁরা৷ শেষ পর্যন্ত খবর পেয়ে গ্রামে পৌঁছয় পুলিশ।  তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এই ঘটনায় গ্রামের গুণি ওঝা সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা৷

যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্তরা পলাতক।  ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের বিজেপির প্রধান এবং মালদহ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপির বিধায়ক গোপাল চন্দ্র সাহা। তাঁদের অভিযোগ, ঘটনায় তৃণমূল নেতা জড়িত রয়েছে বলেই আড়াল করার জন্যই পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি।

অন্যদিকে অভিযুক্ত ওই তৃণমূল সদস্যার স্বামী পুরো ঘটনা অস্বীকার করেছেন। তাঁর  বক্তব্য, এই ঘটনা সাজানো। এ ঘটনা নিয়ে ভাবুক অঞ্চলের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি দিলীপ হেমব্রম জানান,  “এ ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবে জড়িত নয়। ডাইনি মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছিল তবে পুরোপুরি গ্রামবাসীরা মিলে করেছেন। এ ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা কোনওভাবে জড়িত নন, যদি জড়িত থাকেন তাহলে দল তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।”