মালদা: মালদায় শক্তিশালী বোমা উদ্ধার। মালদার কালিয়াচকের দক্ষিণ লক্ষ্মীপুরে বোমা উদ্ধার হয় মঙ্গলবার সকালে। ঝোঁপের মধ্যে দুই ড্রাম ভর্তি তাজা বোমা লুকানো ছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। বম্ব স্কোয়াডের সদস্যরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে বিশেষজ্ঞরা দেখেন, সেগুলি প্রত্যেকটিই শক্তিশালী বোমা। ৯টি বল বোম, ৩২ টা কৌটো বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। মোট ৪১ টি বোমা উদ্ধার হয়। আশেপাশের বাসিন্দাদের সরিয়ে বাগানে ফাঁকা জায়গায় বোমাগুলিকে নিয়ে গিয়ে নিস্ক্রিয় করা হয়। এদিন সকালে ফের সামসেরগঞ্জে ফের বোমা উদ্ধার হয়। সামসেরগঞ্জের চশকাপুরে রাস্তার ধারের একটি জঙ্গল থেকে ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বোম্ব স্কোয়াড। জায়গাটিকে ঘিরে রাখা হয়েছে। বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সকালেই ফরাক্কার হাজারপুর গ্রামে শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের পিছনে লিচু বাগান থেকে বোমা ও বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের পাশ থেকেই বোমা উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। সপ্তাহ ঘোরার আগেই ফের এলাকায় বোমা উদ্ধার ।
রাজ্যে এত অস্ত্র, বোমা আসছে কোথা থেকে? মূলত বগটুই কাণ্ডের পর থেকেই যেভাবে রাজ্য জুড়ে বোমা ও অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে, তা রীতিমতো প্রশাসনের ভূমিকাকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে গিয়েছে। গ্রামগঞ্জের প্রত্যেকটা ওলিগলিতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হচ্ছে বোমা, বিস্ফোরক, তবে কি স্থানীয় প্রশাসন এসবের কিছুই জানত না? নাকি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের জন্যই অপেক্ষা করছিল প্রশাসন? প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। মুর্শিদাবাদের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলি থেকে এভাবে বোমা-অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে। আতঙ্কিত গ্রামের সাধারণ বাসিন্দারাই।
আরও পড়ুন: গলায় চাপ দিয়ে ‘যৌন হেনস্থা’, উস্থির মিশনের হোস্টেলে নাবালক নিগ্রহ কাণ্ডে গ্রেফতার তারই সহপাঠী