মালদা: ভারত বাংলাদেশে সীমান্তে নদীর হাঁটু জলে বিএসএফ জওয়ানের দেহ। গরু পাচারকারীদের হাতে খুন বলেই প্রাথমিক অনুমান বিএসএফ-এর। নিহত বিএসএফ জওয়ানের নাম বিবেক তেওয়ারি (৩৬)। এই ঘটনার পর মঙ্গলবার থেকে বামনগোলা থানা এলাকার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই মালদার বামনগোলা থানার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ১৫৯ নম্বর ব্যাটালিয়নের বিএসএফ-এর এই জওয়ানের কফিনবন্দি দেহ পঞ্জাবের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সোমবার ১৫৯ ব্যাটালিয়ানের বামনগোলা ব্লকের খুটাদহ ক্যাম্পের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকার হাড়িয়া নদীতে ওই বিএসএফ জওয়ানের দেহ উদ্ধার হয়।
বিএসএফ সূত্রে খবর, বেশ কয়েক মাস ধরেই মালদার সীমান্তবর্তী এলাকা হবিবপুর, বামনগোলা এলাকায় বাংলাদেশি গরু পাচারকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। গত শুক্রবারই ওই এলাকার হবিবপুরের ১৫৯ব্যাটালিয়নের জওয়ানদের গুলিতে এক বাংলাদেশি পাচারকারীর মৃত্যু হয়। এরপরেই বামনগোলা ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে খুটাদহ ক্যাম্পের ধারে নদীতে এই বিএসএফ জওয়ানের মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে গোটা এলাকা জুড়েই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
শুক্রবার যখন পাচারকারীদের বাধা দিয়েছিলেন জওয়ানরা, তখন তাঁদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোড়া হয়েছিল।পাল্টা বিএসএফ গুলি চালালে এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়। বিএসএফের অনুমান, এক্ষেত্রেও সীমান্তবর্তী এলাকায় ওই বিএসএফ জওয়ান গরু পাচারে বাধা দেওয়াতেই পাচারকারীদের হাতে খুন হয়েছেন। পরে দেহ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই জওয়ানের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পরে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর কফিনবন্দি দেহকে গান স্যালুট দেওয়া হয়। সন্মান জানানোর পরে ওই জওয়ানের দেহ তাঁর বাড়ি পঞ্জাবের উদ্দেশ্য পাঠানো হয়।
সীমান্তে চোরাচালান রুখতে তৎপর সীমান্তরক্ষীবাহিনীরা। গত ডিসেম্বরেও ২২ তারিখেও বিএসএফের গুলিতে এক পাচারকারীর মৃত্যু হয়। বিএসএফএর তরফে জানানো হয়, মালদার নওদা এলাকায় দুই বাংলারই কয়েকজন চোরাচালানকারী কিছু জিনিস পাচার করছিল। সীমান্তরক্ষী বাহিনীদের নজরে তারা পড়ে যায়। বিএসএফ বাধা দেওয়ায়, তাদেরকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি ঢিল, ইট ছুড়তে থাকে তারা। এমনকি বাঁশ. লাঠি নিয়েও হামলা করে।
বিএসএফ জানাচ্ছে, সীমান্তে পাচারের ক্ষেত্রে নিত্য নতুন কায়দা আবিষ্কার করছে পাচারকারিরা। সেক্ষেত্রে পাচারে বাধা পেলে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে তারা। বিএসএফের ওপর ইট, লাঠি, বাঁশ, লোহার রড নিয়ে হামলা চালায়। বেপরোয়া ইট ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তারা। এক্ষেত্রে বিএসএফ জওয়ানও নিশ্চয়ই কোনও পাচারকারীর আক্রমণের সম্মুখীন হয়েছিলেন। বাধা দেওয়াতেই খুন বলে প্রাথমিক অনুমান। সেক্ষেত্রে বাকি বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে বিএসএফ। এখনও এই বিষয়ে বিএসএফের তরফে কিছু জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন: Gangasagar Mela Calcutta High Court: আগের শর্তে বেশ কিছু অদলবদল! গঙ্গাসাগর মেলায় আবারও সবুজ সঙ্কেত হাইকোর্টের