Maldah: খাওয়াতে গিয়ে শ্বাসনালিতে আটকায় দুধ! সদ্যোজাতর মৃত্যুতে গাফিলতির অভিযোগে ধুন্ধুমার মালদহের নার্সিংহোমে
Maldah: নার্সিংহোম ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বুধবার রাতে প্রসূতি এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। পরিবারের দাবি, বাচ্চা সুস্থ ছিল। বৃহস্পতিবার বিকালে বাচ্চার খুব জ্বর হয়। নার্সিংহোমের নার্সরা কোনও তোয়াক্কাই করছিলেন না বলে অভিযোগ।

মালদহ: চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগে সদ্যজাতর মৃত্যু। ব্যাপক উত্তেজনা মালদহের চাঁচলের নার্সিংহোমে। প্রসূতির পরিবারের সদস্যরা নার্সিংহোমে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। শিশুর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে চিকিৎকদের বচসা হয়। বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। নার্সিংহোমের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নার্সিংহোম ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বুধবার রাতে প্রসূতি এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। পরিবারের দাবি, বাচ্চা সুস্থ ছিল। বৃহস্পতিবার বিকালে বাচ্চার খুব জ্বর হয়। নার্সিংহোমের নার্সরা কোনও তোয়াক্কাই করছিলেন না বলে অভিযোগ। যখন নার্সদের জোর করে ডেকে আনা হয়, তখন দেখা যায় সদ্যোজাতর ১০০.৪ ডিগ্রি জ্বর উঠে গিয়েছে। প্রসূতির দিদা বলেন, “আমাদের বাচ্চাটার কাছে যেতেই দিচ্ছিল না। রাতে আমরা বাচ্চা রেখেই বাড়ি ফিরি। পরেরদিনও বাচ্চাটা শুধু কেঁদেই যাচ্ছিল। বাচ্চাটা দেখে আমরা বাড়ি গেলাম। তখনও নার্স চিকিৎসকরা কিছুই করেননি। আমরা বাড়ি ফিরতেই দশ মিনিটের মধ্যে ফোন। বলেন বাচ্চার অবস্থা খুবই সিরিয়াস। বাচ্চাটাকে কোলে নিই, দেখি ওর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। আমাদের চোখের সামনে শেষ হয়ে গেল। বাচ্চাটাকে দুধ খাওয়াতে গিয়ে, ওর বুকে দুধ আটকে গিয়েছিল। ওর ঢেকুর তোলায় নিই।” পরিবারের দাবি, অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম আজারুদ্দিন।
নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের দাবি, বাচ্চার ডাক্তার সবাইকে দেখেছে। বাচ্চাটাকে দুধ খাওয়াতে গিয়ে শ্বাসখালিতে দুধ আটকে গিয়েছিল। জ্বর হয়েছিল। এখানে এনআইসিইউ ছিল না। এখানে পরিকাঠামো ছিল না বলে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।





