Maldah Congress Joining: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলে ভাঙন, কংগ্রেসে যোগদান ৩০০ কর্মী-সমর্থকের

Maldah Congress Joining: তবে কংগ্রেসের এই যোগদান কর্মসূচিকে ভুয়া বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি।

Maldah Congress Joining: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলে ভাঙন, কংগ্রেসে যোগদান ৩০০ কর্মী-সমর্থকের
তৃণমূল থেকে কংগ্রেসে যোগ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 06, 2023 | 10:44 AM

মালদা: সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে বড় ভাঙন তৃণমূলে। তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করলেন মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সম্পাদক প্রদীপ কুমার সাহা এবং তৃণমূলের যুবনেতা প্রিয়ার্ঘ সাহা ওরফে আকাশ। তিনি শুধু একা নয় তার সঙ্গে যোগদান করেছেন প্রায় হাজার খানেক তৃণমূল কর্মী সমর্থক এবং তৃণমূলের বর্তমান পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য-সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা। প্রদীপ সাহার নেতৃত্বে রতুয়া-১ ব্লকের বেসিক স্কুল প্রাঙ্গনে যোগদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন সুজাপুরের প্রাক্তন বিধায়ক ইশা খান চৌধুরী ও মানিকচকের প্রাক্তন বিধায়ক মোস্তাকিন আলম।

বুধবার মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন পুরাতন মালদা বিধানসভার প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক ভূপেন্দ্রনাথ হালদার, রতুয়া-১ ব্লক কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি পরিতোষ সিনহা-সহ অন্যান্যরা। কংগ্রেসে যোগদানকারী রোকা ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির জননেতা বলেন, “আমি ২০১১ সাল থেকে তৃণমূল করছি। কিন্তু যখন জেলার দায়িত্ব মামা-ভাগ্নের হাতে দেওয়া হল, তারা ভালো লোককে সরিয়ে নিজেদের পছন্দের লোককে দায়িত্ব দেওয়া শুরু করল। দলের সংগঠন পুরো ভেঙে যায়। তাই তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে।”

তবে কংগ্রেসের এই যোগদান কর্মসূচিকে ভুয়া বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। যোগদানকারীদের আগাছা বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, “ওরা সব বিজেপির লোক। এসেছিল। আজ থেকে এক দেড় বছর আগে কি দলে ওরা ওদের কোনও অস্তিত্ব দেখাতে পারবে? ওরা সব বিজেপি মার্কা লোক। যারা যোগ দিয়েছে, তারা সব আগাছা। দল ওদের কোনও গুরুত্ব দেয় না। কংগ্রেস কংগ্রেস মার্কা লোকগুলোকেই দলে নিয়েছে।”

গত মাসেই অবশ্য ঘটেছিল উলটপুরাণ। কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগদান করেন প্রায় ৩০০ কর্মী সমর্থক। হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের সুলতাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধিকার বুথে স্থানীয় কংগ্রেস নেতা কসীমউদ্দিন-সহ তিন শতাধিক কংগ্রেস কর্মী তৃণমূলে যোগদান করেন। সে সময় তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেছিলেন, ৭৫ শতাংশ বুথে প্রার্থীই দিতে পারবে না বিজেপি। কংগ্রেস ও সিপিআইএম জোটও অনেক জায়গায় প্রার্থী খুঁজে পাবে না। কিন্তু এক মাসের মধ্যেই তার উলটপুরাণে জেলায় ব্যাপক রাজনৈতিক শোরগোল।