মালদা: আর্তনাদ, গোঙানির শব্দ কানে এসেই এগিয়ে এসেছিলেন পথ চলতি সাধারণ মানুষ। ততক্ষণ হাতে থাকা ধারাল অস্ত্র নিয়ে এক ব্যক্তি উন্মত্তভাবে সামনের মহিলার ওপর আক্রমণ করছেন। বেপরোয়া ভাবে অস্ত্র চালিয়ে ফালা ফালা করে দিয়েছেন মহিলার শরীরের একাধিক জায়গা। মুখ, গলা, মাথা. বুকে একাধিক ক্ষত তৈরি হয়েছে। রক্তে ভেসে যাচ্ছিল মাটি। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েছেন তিনি। কিন্তু সেই অবস্থাতেও চলছে হামলা। দৃশ্য দেখে ছুটে এসেছিলেন এক মহিলা। অভিযুক্তকে আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন। পারেননি। উল্টে ধারালো অস্ত্রে কোপ এসে পড়ে তাঁর হাতেও। ভয়ঙ্কর ঘটনা মালদার মালদার বৈষ্ণবনগরে। সিমি খাতুন নাম বছর আঠাশের ওই মহিলা মালদা বেদরাবাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওখানেই চিকিৎসাধীন আক্রান্ত মহিলাও।
জানা যাচ্ছে, সিমি খাতুন বৈষ্ণবনগর থানার এলাকায় চাঁইপাড়াতে একটি ব্যাঙ্কে কাজে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, সেসময় তাঁর রাস্তা আটকান প্রাক্তন স্বামী জাহাঙ্গির শেখ। কী কারণে হামলা? হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সিমি জানিয়েছিলেন, ১১ বছর আগে জাহাঙ্গিরের সঙ্গে বিয়ে হয় সিমির। কিন্তু অনেক চেষ্টার পরও মা হতে পারছিলেন না সিমি। পরিবারের সব ক্ষোভের শিকার হয়েছিলেন। অভিযোগ, স্বামী-শাশুড়ি তাঁর ওপর শারীরিক নির্যাতন শুরু করেছিলেন। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই কয়েক মাস আসে বাপের বাড়িতে চলে এসেছিলেন সিমি। সেই কারণেই হামলা বলে দাবি তাঁর।
সিমির দাবি, প্রথমে জাহাঙ্গির তাঁর পথ আটকায়। বিভিন কথাবার্তায় রাস্তাতেই তাঁদের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। কিন্তু এমনটা যে হতে পারে, তা আঁচ করতে পারেননি ওই মহিলা। ধারাল অস্ত্র বার করেই প্রাক্তন স্ত্রীর ওপর হামলা শুরু করে জাহাঙ্গির। তাতে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। সে সময় এক মহিলা সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে। কিন্তু তাঁরও পায়ে কোপ মারার অভিযোগ ওঠে জাহাঙ্গিরের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর পালিয়ে গিয়েছে জাহাঙ্গির। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদে আরও ৪ সপ্তাহের স্থগিতাদেশ, স্বস্তিতে পার্থ
আরও পড়ুন: তপন কান্দু খুনে পুলিশ কি কোনওভাবে নিরঞ্জন বৈষ্ণবকেই ফাঁসানোর ছক কষছিল? এটাই মূল ফোকাস সিবিআই-এর