Maldah Fraud Case: ‘জয়েন্ট বিডিও বলছি…’, ফোন আসতেই ২০ হাজার টাকা অনলাইনে পাঠিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা, সর্বনাশটা বুঝলেন পরে
Maldah Fraud Case: মালদা জেলার হরিশচন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত হরিশচন্দ্রপুর গ্রাম-পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান রিষবা খাতুনের স্বামী তথা তৃণমূল নেতা আফজাল হোসেন।
মালদা: ‘জয়েন্ট বিডিও বলছি…’ ফেন আসে তৃণমূল নেতার কাছে। বিভিন্ন প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে আলোচনাও হয়। তারপর ফোন রেখে দেন ‘জয়েন্ট বিডিও’। তার কিছুক্ষণ পরে আবারও ফোন করেন তিনি। পরিবারের সদস্য অসুস্থ, তাই টাকার প্রয়োজন বলে তৃণমূল নেতার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নেন। অনলাইনে হয় সেই টাকা পাঠিয়ে দেন তৃণমূল নেতা। তারপর থেকেই বেপাত্তা ‘জয়েন্ট বিডিও’। এমনই দাবি তৃণমূল নেতার। ‘জয়েন্ট বিডিও’ পরিচয় দিয়ে তৃণমূল নেতার সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ উঠল মালদায়। মালদার হরিশচন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের হরিশচন্দ্রপুর গ্রাম-পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে।
তৃণমূল প্রধান রিষবা খাতুনের স্বামী তথা তৃণমূল নেতা আফজাল হোসেনের বয়ান অনুযায়ী, বুধবার তাঁর কাছে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের জয়েন্ট বিডিও-র পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি ফোন করেন। বুধবার বিকেলের দিকে ফোন আসে অচেনা ওই নম্বর থেকে। প্রথমে প্রশাসনিক ব্যাপার নিয়ে বিভিন্ন কথা-বার্তা হয়।
তৃণমূল নেতার বয়ান অনুযায়ী, তারপরই ফোন রেখে দেন ওই ব্যক্তি। কিছুক্ষণ পর আবার ফোন করে জয়েন্ট বিডিওর পরিচয় দিয়ে পারিবারিক অসুস্থতার কথা বলে অর্থ সাহায্য চান। তৃণমূল নেতা আফজাল হোসেন সাহায্য স্বরূপ ২০ হাজার টাকা অনলাইন মাধ্যমে পাঠিয়ে দেন। জয়েন্ট বিডিওর পরিচয় দেওয়া প্রতারক বলেন, “বেতন হলে টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন।” কিন্তু টাকা পাঠানোর পর থেকেই তৃণমূল নেতা ফোন করলে আর ওই ব্যক্তি ফোন ধরছেন না বলে অভিযোগ। তারপরেই সন্দেহ হয় আফজাল হোসেনের। খবর নিয়ে জানতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন। ঘটনাটি সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তিনি দলীয় নেতৃত্বকে ঘটনাটি জানান এবং হরিশ্চন্দ্রপুর থানাতেও লিখিত অভিযোগ করেন।
এই ঘটনা সামনে আসতেই আরেকটি চাঞ্চল্যকর খবর সামনে আসে। শুধু তৃণমূল নেতা আফজাল হোসেন নয়, এরকম ফোন এসেছিল এলাকার আরও পাঁচজন প্রধানের কাছে। কিন্তু তাঁরা কেউ টাকা দেননি। তবে একই ভাবে প্রতারিত হয়েছেন একজন সিভিক ভলেন্টিয়ারও।
তৃণমূল নেতৃত্ব বলেন, “হরিশ্চন্দ্রপুরের জয়েন্ট বিডিও-র নাম করে এক ব্যক্তি ফোন করে আমাদের প্রধানকে কিছু প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তার ২ ঘণ্টা পর আবারও ফোন করে বলেন, তাঁর স্ত্রীর শরীর খারাপ, ২০ হাজার টাকা লাগবে। ফোন পে করে পাঠিয়ে দিতে। আমাদের প্রধান তা পাঠিয়ে দেয়। পরে আর ওই নম্বরে যোগাযোগ করে তাঁকে পাওয়া যাচ্ছে না।”
প্রতারিত হয়েছেন, সেটা পরে বোঝা যায়। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
আরও পড়ুন: শহরে ফের চলল গুলি, গুলিবিদ্ধ দুই যুবক
আরও পড়ুন: গ্রেফতারির পরও হাসপাতাল থেকে এখনই ছাড়া হচ্ছে না বিকাশ মিশ্রকে! কারণ জানতে মরিয়া সিবিআই