Kolkata Shootout: শহরে ফের চলল গুলি, গুরুতর জখম দুই ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসায়ী
Kolkata Shootout: আজ ভোরে ইমারতি সামগ্রী নামানোর সময় ভিক্টর বাইক নিয়ে এসে গুলি চালায় বলে অভিযোগ।
কলকাতা: ফের শহরে চলল গুলি! রিজেন্ট পার্ক থানার তেঁতুলতলা এলাকায় গুলি চলেছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, গুলিবিদ্ধ হয়েছেন দুই যুবক। এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিত্সাধীন তাঁরা। গুলিবিদ্ধ দুই যুবকের নাম পঙ্কজ সাহা ও অভিজিত্ মল্লিক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ভোর পৌনে পাঁচটা নাগাদ গুলি চলে রিজেন্ট পার্ক এলাকায়। হাসপাতালে যাওয়ার আগে গুলিবিদ্ধ যুবক পেশায় ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসায়ী পঙ্কজ জানিয়েছেন, তিনি সকালে লরি থেকে বালি খালি করাচ্ছিলেন। রাস্তার ধারেই দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। কিছুটা দূরেই ছিলেন তাঁর বন্ধু অভিজিত্ মল্লিক।
অভিযোগ, ভাস্কর ভট্টাচার্য নামে এলাকারই এই যুবক তাঁর দলবল নিয়ে বাইকে ওই এলাকায় হয়। কাজ নিয়েই তাঁদের মধ্যে বচসা হয়। অভিযোগ, বচসা চলাকালীন আচমকাই ভাস্কর পকেট থেকে বন্দুক বার করে পঙ্কজের পেটে গুলি চালিয়ে দেন।
গুলির শব্দ শুনতে পেয়ে ছুটে আসেন অভিজিত্। অভিযোগ, তাঁকেও লক্ষ্য করে গুলি চালান ভাস্কর। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তাঁরা। অভিযুক্তরা বাইকেই এলাকা থেকে চম্পট দেন। পথচলতি কয়েকজন বাসিন্দাদের ডাকে স্থানীয়রা এলাকায় ছুটে আসেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ।
ততক্ষণে আহতদের উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, পঙ্কজের পেট ছুঁয়ে বেরিয়ে গিয়েছে গুলি। কিন্তু অভিজিতের তলপেটে গুলি আটকে রয়েছে। দুই জনকেই পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিত্সকরা।
এদিকে, ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ভাস্করকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে সেভেন এমএম পিস্তলটি। ওই পিস্তল দিয়েই গুলি চালিয়েছিলেন তিনি। তবে তাঁর সঙ্গীরা অধরা। তাঁদের খোঁজেও তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ভাস্করের মাথার পিছনে চোট রয়েছে। রক্ত বের হচ্ছিল। তাঁকে চিকিত্সার জন্য বাঘাযতীন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁর মাথাতেও চোট কীভাবে এল? পাল্টা কোনও হামলা হয়েছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ভাস্কর প্রমোটিংয়ের ব্যবসা করেন। পঙ্কজ করে ইমারতী দ্রব্যের ব্যবসা। অর্থাত্ ব্যবসায়ীক কোনও কারণেই, সিন্ডিকেট সমস্যাতেই গুলি চলেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
আপাতত তদন্তকারীরা ভাস্কর ও পঙ্কজের সুস্থ হওয়ার অপেক্ষা করছেন। তাঁরা সুস্থ হলেও তাঁদের কাছ থেকে আসল কারণ জানা যাবে। সিন্ডিকেট নিয়ে সমস্যার জেরেই কি ভাস্কর গুলি চালিয়েছিলেন? নাকি এর পিছনে রয়েছে আরও কোনও পুরনো শত্রুতা? খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
পঙ্কজের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁদের কাছ থেকেই বিভিন্ন তথ্য পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: গ্রেফতারির পরও হাসপাতাল থেকে এখনই ছাড়া হচ্ছে না বিকাশ মিশ্রকে! কারণ জানতে মরিয়া সিবিআই