Maldah School Hostage: সেই স্কুলে ঢুকে পড়া ‘বন্দুকবাজ’ দেববল্লভের স্ত্রীর খোঁজ মিলল, তাঁর দাবিতে ঘুরে গেল গোটা গল্পের মোড়
Maldah School Hostage: পুলিশের হাতে ধরা পড়লেও TV9 বাংলা বেরিয়ে পড়ে রীতা বল্লভের খোঁজে। অবশেষে রীতার খোঁজ পাওয়া যায় তাঁর বাবার বাড়িতে। সন্তানকে নিয়ে সেখানেই রয়েছেন তিনি। তাঁর মুখ থেকেই শোনা গেল আসল রহস্য কী?
মালদহ: মার্কিন মুলুকে যা হয়ে থাকে, খোদ বাংলার বুকে তা করে দেখিয়েছেন দেব বল্লভ। স্কুলে ক্লাস ঢুকে পড়েছিলেন বন্দুক, পেট্রল বোমা হাতে। পড়ুয়া আর শিক্ষকদের পণবন্দি করার চেষ্টা করেছিলেন। মালদার কালিয়াচকের চন্দ্রমোহন হাইস্কুলের ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা রাজ্যে। দেববল্লভ বর্মন নামে ওই ব্যক্তি দাবি করেছিলেন, তাঁর স্ত্রী রিতা বল্লভ ও ছেলেকে অপহরণ করে রেখেছেন তৃণমূলের নেতারা। প্রশাসনকে জানান সত্ত্বেও কোনও কাজ না হওয়ায় এই কাজ করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। পুলিশের হাতে ধরা পড়লেও TV9 বাংলা বেরিয়ে পড়ে রীতা বল্লভের খোঁজে। অবশেষে রীতার খোঁজ পাওয়া যায় তাঁর বাবার বাড়িতে। সন্তানকে নিয়ে সেখানেই রয়েছেন তিনি। তাঁর মুখ থেকেই শোনা গেল আসল রহস্য কী?
রীতা জানালেন, তিন বছর আগেই তিনি তাঁর স্বামীকে ছেড়ে চলে এসেছেন। ছেলেকে সঙ্গে নিয়েই বাড়ি ছেড়েছিলেন তিনি। তাঁর দাবি, স্বামী দেববল্লভের মানসিক সমস্যা রয়েছে। তাঁর চিকিৎসার প্রয়োজন। কিন্তু তিনি নিজের চিকিৎসা করাতেও রাজি নন। এর আগেও একাধিকবার নানান অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। রীতা বলেন, “ও ভীষণই সিধেসাধা ছেলে। ওকে যে যা বোঝায়, তাই বোঝে। আর রাজনীতিতে ঢোকার পর ওর আরও অবস্থা খারাপ হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, দেববল্লভের মানসিক সমস্যা নতুন নয়। ছোটবেলা থেকেই তাঁর সমস্যা ছিল। সেটা নাকি তিনি তাঁর শাশুড়ির কাছ থেকেই শুনেছিলেন। গত কয়েক বছরে দেববল্লভ আরও বেপরোয়া হয়ে যায়। তাই বাধ্য হয়েই ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে এসেছেন তিনি। রীতা বলেন, “আমার শাশুড়ি আমার কাছে স্বীকার করেছিলেন, দেবের মাথায় সমস্যা রয়েছে। কিন্তু এখন ওর পাশে দাঁড়ানোর মতো পরিবারের কেউ নেই। দেব কাউকেই ভয় পায় না। ও নিজের জগতে থাকে। আর যেটা ঠিক মনে করে, সেটাই করে। এভাবে সংসার করা সম্ভব নয়, প্রাণভয়েই চলে এসেছিলাম। এখানে কারোর কোনও মদত নেই।” তিনি এও জানান, এখন তিনি আবারও দেবের চিকিৎসা করাতে চান।
আগে রীতা বিজেপি করতেন, বর্তমানে তৃণমূল করেন। তবে এর মধ্যে যে একেবারেই ‘পার্টি পলিটিক্স’ যোগ নেই, তা স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি। আপাতত দেব পুলিশি হেফাজতে।