মালদহ: পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট এখনও ঘোষণা হয়নি। কিন্তু দলীয় কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতে আর বিরোধীদের চাপে রাখতে শাসক-বিরোধী নেতৃত্বের তপ্ত বাক্য বিনিময় চলছেই। এবার বিরোধীদের গাছে বেঁধে পেটানোর নিদান দিলেন তৃণমূল নেতা। বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিলেন মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি। বিরোধীদের হুঁশিয়ারি মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সির। তিনি বলেন, “বিরোধীরা জেনে রাখুন, এভাবে মানুষ ঠকানোর রাজনীতি আর বেশি দিন কাজ করবে না।” তিনি হুঁশিয়ারি দেন, “আগামী দিনে মানুষ ঠকানোর রাজনীতি আর চলবে না। সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে মসনদ দখল করার যে স্বপ্ন আপনারা দেখেছেন, তৃণমূল কংগ্রেস-সহ গ্রামের মানুষরা গ্রামের রাস্তায় ধরে ধরে আপনাদের গাছের সঙ্গে বেঁধে পেটাবে।”
বিরোধীদের কটাক্ষ করে তিনি আরও বলেন, “মানুষ জবাব চাইবে আপনাদের কাছে। গরিবের জন্য আপনারা কী করেছেন? কোন পথে যাচ্ছেন, সেই পথে ব্যারিকেড তৈরি করবে মানুষ। মানুষ রুখে দাঁড়াবে আপনাদের বিরুদ্ধে।”
বর্তমানে একাধিক ইস্যুতে বিদ্ধ রয়েছে শাসকদল। বিরোধীরা তাদের নানাভাবে আক্রমণ চালাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে শাসক নেতৃত্বও পাল্টা আক্রমণের পথে হাঁটছেন। বিরোধীদের বিঁধতে তাঁরা তাঁদের এলাকাভিত্তিক ইস্যুকে তুলে ধরেছেন। জনসংযোগ ভিতকে মজবুত করতে, মানুষের মন বোঝার চেষ্টা করছেন তাঁরা।
এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা অম্লান বলেন, “নিজের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য তিনি এই ধরনের কুমন্তব্য করছেন। সংবিধানবিরোধী কথা বলছেন। তিনি যখন এত বড় বীর, তাহলে নিরাপত্তারক্ষী ছেড়ে ঘুরুন না, তাহলে বোঝা যাবে মানুষ তাঁদের সঙ্গে কী করবে।”
নিজের মন্তব্যে সমর্থনেই তৃণমূল নেতা আব্দুল রহিম বক্সি বলেন, “আসলে বিজেপি মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা করছেন। একশো দিনের টাকা আটকে রাখছে বিজেপি। মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা চলছে। তাই মানুষ ছেড়ে কথা বলবে না।”
প্রসঙ্গত, এখন নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া কেউ বেরোল, মানুষ দেখে নেবে, এ ধরনের হুঁশিয়ারি দেওয়ার যেন রেওয়াজ তৈরি হয়েছে শাসক বিরোধী নেতৃত্বের মধ্যে। এর আগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কিংবা শাসকমন্ত্রী উদয়ন গুহ এই ধরনের ‘নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া বেরনো’র হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন একে অপরকে।