মালদা : রাস্তার উল্টোদিকে থানা। সেই থানার সামনেই নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিলেন এক ব্যক্তি। গায়ে আগুন লাগানোর পর আর্ত চিৎকার শুরু করেন। দৌড়ে আসে পুলিশ। ওই ব্যক্তির শরীরে কম্বল জড়িয়ে আগুন নেভালেন থানার আইসি। ততক্ষণে ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছেন শিবু চক্রবর্তী নামে ওই ব্যক্তি। ঘটনাটি মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার উল্টোদিকে হাটখোলা। হাটখোলার পিছনেই বাড়ি বছর ঊনচল্লিশের শিবু চক্রবর্তীর। থানার সামনে ভ্যানে ডাব বিক্রি করেন। পাশেই আবার ছাতুর সরবত বিক্রি করেন তাঁর স্ত্রী ফুলন সাহা চক্রবর্তী। স্থানীয়দের বক্তব্য, ওই দম্পতির মধ্যে রোজ ঝগড়া হয়। আজও তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হচ্ছিল। আশপাশের দোকানদাররা প্রথমে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি। আচমকাই শিবু থানার উল্টো দিকে দুর্গামণ্ডপের সামনে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে দেন। তারপর লাইটার দিয়ে আগুন ধরান।
গোটা শরীরে আগুন লাগার পর আর্ত চিৎকার শুরু করেন শিবু। বাঁচার জন্য ছুটতে শুরু করেন। দৌড়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আর্ত চিৎকার শুনে বেরিয়ে আসেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয়কুমার দাস। আইসি শিবুর গায়ে কম্বল জড়িয়ে আগুন নেভান। ততক্ষণে থানার আরও পুলিশকর্মী ঘটনাস্থলে চলে আসেন।
আগুন নেভানোর পর তাঁকে হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মালদা মেডিক্যাল কলেজে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিবুর শরীরের ৫০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে।
হাটখোলার কয়েকজন দোকানদার বলেন, শিবুর সঙ্গে তাঁর বউয়ের রোজ ঝগড়া হয়। আজও হচ্ছিল। রোজকার ঝগড়া ভেবে বিষয়টিকে তাঁরা প্রথমে গুরুত্ব দেননি। আচমকা দেখতে পান, শিবু বাঁচাও, বাঁচাও চিৎকার করতে করতে দৌড়চ্ছেন। আইসি এসে ওর গায়ে কম্বল জড়িয়ে আগুন নিভিয়ে হাসপাতালে পাঠান।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস বলেন, এখনও কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। দাম্পত্য কলহের জেরেই ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।