Waqf Unrest: কোলে ৭ দিনের সন্তান, জ্বরে পুড়ছে শরীর, বৈষ্ণবনগরের ত্রাণ শিবিরে বসে গৃহবধূ বললেন, ‘ওরা সব জ্বালিয়ে দিয়েছে, পুলিশ নিরাপত্তা দিতে পারল কই?’

Malda: দুষ্কৃতীরা বাড়ির ভিতরে ঢুকে গ্যাসের সিলিন্ডার খুলে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। দাউ দাউ জ্বলতে থাকা আগুনের ভিতর থেকেই কোনওমতে সাতদিনের সন্তানকে নিয়ে বেরিয়ে আসেন গৃহবধূ।

Waqf Unrest: কোলে ৭ দিনের সন্তান, জ্বরে পুড়ছে শরীর, বৈষ্ণবনগরের ত্রাণ শিবিরে বসে গৃহবধূ বললেন, ওরা সব জ্বালিয়ে দিয়েছে, পুলিশ নিরাপত্তা দিতে পারল কই?
কোলে একরত্তি, চোখে-মুখে ভয় আতঙ্ক।Image Credit source: TV9 বাংলা

| Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Apr 14, 2025 | 7:55 AM

মালদহ: একরত্তিটার সবে সাত দিন বয়স। এখনও আঁতুড় ওঠেনি। তার আগেই ঘরছাড়া হতে হল তাঁকে। কবে বাড়ি ফিরতে পারবে পরিবারের সঙ্গে, তা জানে না কেউ। ওই সদ্যোজাতর একমাত্র ভরসাস্থল মায়ের কোলই।

যেদিন সন্তান জন্মগ্রহণ করে, সেই দিন থেকেই এলাকায় অশান্তি শুরু হয়েছিল। অনেক স্বপ্ন, আশা নিয়েই বাড়িতে সন্তানকে নিয়ে এসেছিলেন সামশেরগঞ্জের বেদবনা গ্রামের বাসিন্দা। কিন্তু সন্তানের আনন্দ-সুখ বোঝার আগেই ঘরছাড়া হতে হল। সাত দিনের সন্তানকে নিয়ে নদী পেরিয়ে মালদহের বৈষ্ণবনগরের পারলাল হাইস্কুলে ঠাঁই নিয়েছেন ওই গৃহবধূ। কোলে সন্তান, চোখে জল।

শনিবার সকালে দুষ্কৃতীরা ঘরের মধ্যে ঢুকে তাণ্ডব দেখাতে শুরু করে। বাইরে পর পর বোমা পড়ছে। বোমার আওয়াজে কেঁপে উঠেছিল কোলের সন্তান। দুষ্কৃতীরা বাড়ির ভিতরে ঢুকে গ্যাসের সিলিন্ডার খুলে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। দাউ দাউ জ্বলতে থাকা আগুনের ভিতর থেকেই কোনওমতে সাতদিনের সন্তানকে নিয়ে বেরিয়ে আসেন গৃহবধূ। তারপর নৌকায় করে নদী পেরিয়ে মালদহে আশ্রয়।

মুর্শিদাবাদের শয়ে শয়ে মানুষ, যারা ঘরছাড়া হয়েছেন হিংসায়, তাদের ঠিকানা এখন মালদহের বৈষ্ণবনগরের পারলাল হাইস্কুল। ত্রাণ শিবিরে ঢুকে দেখা গেল, ওই সদ্যোজাত মায়ের কোলে ঘুমাচ্ছে। গায়ে ধুম জ্বর। কিন্তু ডাক্তার ডাকারও উপায় নেই। একরত্তিকে নিয়ে চিন্তায় দু-চোখের পাতা এক করতে পারছেন না নতুন মা।

ওই গৃহবধূ বলেন, “স্বামী বিদেশে কাজ করে। বাড়ি-ঘর সব জ্বালিয়ে দিয়েছে। গয়না-টাকা সব লুট করে নিয়ে গিয়েছে। দেখা পাওয়া যায়নি পুলিশেরও।”

যখন হামলা চালাচ্ছিল দুষ্কৃতীরা, তখন কী করছিল পুলিশ? তাদের কী নিরাপত্তা দিয়েছিল? এই প্রশ্নের জবাবে গৃহবধূ বলেন, “পুলিশ নিরাপত্তা দিতে পারল কই? তাহলে কি এখানে আসতাম। কিছু পুলিশ এসেছিল, বলছে আমাদের অস্ত্র নিতে। আমরা কী পারব?”।

অশান্তি মিটলে নিজের ঠিকানায় ফিরলেও নিরাপদে থাকতে পারবেন কি না, চোখে জল নিয়ে প্রশ্ন ওই গৃহবধূর।