মালদা: গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি চলছে। বাড়ছে নদীর জলস্তর। চিন্তা বাড়াচ্ছে গঙ্গায় ভাঙন। এর মধ্যে শনিবার ঘটে গেল অঘটন। উত্তাল নদীতে তলিয়ে গেল এক কিশোর।
মালদার মানিকচকের ঘটনা। এ দিন কালিন্দী নদীতে তলিয়ে যায় বছর তেরোর ওই নাবালক। নিখোঁজ কিশোরের নাম শেখ জাফর। তাঁর বাবা শেখ ইমরান। বাড়ি মানিকচকের ধরমপুর পঞ্চায়েতের রাজনগর গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দারাই সেই ঘাটে তল্লাশি চালায়। তাঁদের অভিযোগ বারবার জানানোর পরও এনডিআরএফ-এর কেউ পৌঁছয়নি ঘটনাস্থলে।
স্থানীয় বাসিন্দা জানান, ‘তিনজন বাচ্চা নদীতে স্নান করছিল। এর মধ্যে দু’জন সাঁতার জানত। ও সাঁতার জানত না। এবার বাচ্চাটিকে জলে ডুবে যেতে দেখে বাকিরা ওঠানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তুলতে পারেনি। ও জলে তলিয়ে গেল। আমরাই ওকে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কারোর খোঁজ পায়নি। এখনও পর্যন্ত এনডিআরএফ দল আসেনি।’
অন্যদিকে, আর এক ব্যক্তির পুকুরে ডুবে মৃত্যু হল হবিবপুরে। তাঁর নাম মনিলাল লোহার। বাড়ি হবিবপুরের কলাইবাড়িতে। প্রায় আধঘণ্টা সময় ধরে জলে তল্লাশি করে তাঁর দেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
উল্লেখ্য, এর আগে গঙ্গায় ভাঙনের জেরে তাঁবু সহ তলিয়ে গিয়েছিলেন দুই জওয়ান। যদিও বরাত জোরে প্রাণে বেঁচে যান তাঁরা। গ্রামের লোকেদের সাহায্যে কোনওক্রমে তাঁদের তোলা হয়। অপরদিকে, নদী ভাঙনের জেরে বিপন্ন প্রাচীন রাধাগোবিন্দ মন্দির। যে কোনও মুহূর্তে বিশাল মন্দির তলিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয় বাসিন্দাদের। ইতিমধ্যেই সিঁড়ি ভেঙে নদী গা ছুঁয়ে রয়েছে। মন্দিরে প্রবেশের উপায় নেই। ফলত মালদার কালিয়াচক ৩ ব্লকের পারলার পুর গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অন্যদিকে আবার তীব্র ভাঙন মালদার মানিকচকের গোপালপুরে। চোখের নিমেষে তলিয়ে যায় ২০০ মিটারের বেশি জমি।আতঙ্ক সেখানেও।