মালদহ: ভোটের ময়দানে ফের খুনের খবর প্রকাশ্যে। এবারের ঘটনাস্থল মালদহ। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। এই ঘটনার সঙ্গে কংগ্রেস যুক্ত বলে দাবি করেছে শাসকদল। জানা গিয়েছে, বাড়ি থেকে বের হতেই বাঁশ-লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তৃণমূল নেতা মোস্তফা শেখকে খুন করারা অভিযোগ উঠেছে। তার জেরেই এমন মর্মান্তিক পরিণতি। বস্তুত, ভোটের বাংলায় এই নিয়ে এক সপ্তাহে হিংসার বলি ছ’জন।
ঘটনাস্থল মালদহের সুজাপুর। এ দিন, দুুপুর নাগাদ বাড়ি থেকে বের হন মোস্তফা শেখ। তিনি ওই এলাকার প্রাক্তন গ্রাম প্রধান। তাঁর স্ত্রী-ও প্রাক্তন প্রধান। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, প্রার্থী তালিকা বের হওয়ার পর সেই তালিকায় নাম না থাকায় একদল বিক্ষুদ্ধ তৃণমূল কর্মী কংগ্রেসে যোগদান করে। তারাই এই কাজ করেছে বলে দাবি মোস্তফার পরিবারের। এ দিন বাইরে বের হতেই একদল ওই কংগ্রেস কর্মীরা বাঁশ-লাঠি দিয়ে মোস্তফাকে বেধড়ক মারধর করেন। এর জেরেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
যদিও, অভিযোগ অস্বীকার করেছে কংগ্রেস। জেলার কার্যকরী সভাপতি কালী সাধন রায় বলেন, “এর সঙ্গে কংগ্রেস জড়িত নয়। এটা ওদের গোষ্ঠী কোন্দল।” এ দিকে, তৃণমূল নেতার মৃত্যুর পর পথ অবরোধ করেন গ্রামবাসী। এলাকায় পৌঁছন রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, “ওরা আগে তৃণমূলেই ছিল। আজ নামাজ পড়ে বেরচ্ছিলেন গোলাম মোস্তফা দা। সেই সময় কংগ্রেস প্রার্থীরা ওনার উপর আক্রমণ করে। এরপর পিটিয়ে মারে। এরা কিছুদিন আগে তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন। কিন্তু আমরা এবার এদের টিকিট দিইনি। এরপর ওরা দলবদল করে কংগ্রেসে যোগদান করে।”
এ দিকে, এই ঘটনায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন জেলাশাসকের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছে। স্ক্রুটিনির দিন এই ঘটনা কীভাবে ঘটল জানতে চেয়েছে কমিশন। একই সঙ্গে ভাঙড়েরও রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।