
মালদহ: বিরোধী দলনেতাকে মালদহে পা পর্যন্ত রাখতে দেওয়া হবে না। সম্প্রতি ইংরেজবাজারে তৃণমূলের জনসভা থেকে এমনই হুঙ্কার দিয়েছিলেন মালদহ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি। তারপরই শুভেন্দুর জনসভায় অনুমতি দিল না জেলা পুলিশ। যার নেপথ্যে দুইয়ে-দুইয়ে চার দেখছে গেরুয়া শিবির। অবশ্য, নির্দিষ্ট দিনেই সভা হবে বলেই মঞ্চ বাঁধার জন্য মাঠ পরিদর্শনের পর চ্য়ালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি।
আগামী মাসের ২ তারিখ অর্থাৎ নতুন বছরেই মালদহের চাঁচলের অন্তর্গত কলমবাগান ময়দানে জনসভা করতে চলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই সূত্র ধরেই ওই জমির মালিকের থেকে একটি অনাপত্তি শংসাপত্র বা এনওসি নিয়েছেন স্থানীয় বিজেপি নেতারা। কিন্তু তারপরেও শুভেন্দুর সভা ঘিরে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। যিনি মাঠ দেবেন, তিনি রাজি। কিন্তু রাজি নয় পুলিশ-প্রশাসন।
সম্প্রতি সভার প্রয়োজনীয় অনুমতির জন্য চাঁচল থানার আইসি এবং মহকুমা শাসকের কাছে দ্বারস্থ হন স্থানীয় বিজেপি নেতা-কর্মীরা। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না বলেই অভিযোগ। এমনটা কেন? সেই নিয়েও স্পষ্ট কোনও উত্তর দেয়নি পুলিশ, দাবি গেরুয়া শিবিরের।
এদিন উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি রতন দাস বলেন, ‘রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতার সভা নিয়ে পুলিশের কোনও অভিযোগ নেই। কিন্তু ওনারা কোনও একটা কারণেই অনুমতি দিচ্ছেন না। যার জেরে মহকুমা শাসকও হাত তুলে দিয়েছেন। পুলিশ অনুমতি না দিলে তাঁরা অনুমতি দেবে না বলেই জানিয়েছে।’ শনিবার এই ইস্যুকে হাতিয়ার করেই সুর চড়িয়েছেন স্থানীয় বিজেপি নেতা-কর্মীরা। জল আদালত পর্যন্ত গড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
রতন দাসের সংযোজন, ‘প্রস্তুতি হয়ে গিয়েছে। সভা নির্দিষ্ট সময়, নির্দিষ্ট স্থলেই হবে। আগামী সোমবার আমরা উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করব। আমরা আগেও দেখেছি, শুভেন্দু অধিকারী যেখানেই সভা করতে চান, সেখানেই তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। কিন্তু আদালত সঠিক বিচার করে। তাই আমরাও আদালতে দ্বারস্থ হব।’