Malda: মাস্কবিহীন মুখে প্রশাসনিক দফতরে মিটিংয়ে তৃণমূল নেতারা, পুলিশকে দেখেই দে দৌড়!

TMC Leader and Police: কাজে জেলার প্রশাসনিক ভবনে এসেছিলেন। কিন্তু মুখে ছিল না মাস্ক। এদিকে পুলিশের সক্রিয়তা দেখে কেউ কেউ দৌড়ে পালাতে চাইলেন। কিন্তু ১০০ মিটারের দৌড়ে জিতল পুলিশই। ধরা খেয়ে মাস্কবিহীন মুখ তখন কাঁচুমাচু। 'এবার থেকে পরব', যেন পুলিশকে আশ্বাসবাণী দিচ্ছেন জননেতারা।

Malda: মাস্কবিহীন মুখে প্রশাসনিক দফতরে মিটিংয়ে তৃণমূল নেতারা, পুলিশকে দেখেই দে দৌড়!
মাস্ক না পরায় একজনকে ধরল পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 01, 2021 | 11:04 PM

মালদহ: ‘এক্ষুণি পরে নিচ্ছি মাস্ক (Mask)’, পরে নিচ্ছি মাস্ক’, তৃণমূল নেতা (TMC Leader) যখন একথা বলছেন তখন তাঁকে প্রায় বগলদাবা করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ (Police)। কোনও কথা না শুনে সটান পুলিশ ভ্যানে চালান করে দেওয়া হল নেতাকে। মালদহ ( Maldah) প্রশাসনিক ভবনের সামনে সোমবারের ছবিটা ছিল এমনই। মুখে মাস্ক না দেখলেই ফট করে ধরছে পুলিশ। খালি মুখে দাঁড়িয়ে বোকার হাসি হাসছেন অনেকে। আবার কেউ কেউ পুলিশের জরিমানা এড়াতে দে দৌড়। যদিও সবাইকেই পাকড়াও করল পুলিশ।

উৎসবের মরসুমে ফের রাজ্যে উর্ধ্বমুখী করোনা (Corona) গ্রাফ। তাই মাস্ক পরানোর জন্য জায়গায় জায়গায় চলছে পুলিশি নজরদারি। রাজ্যজুড়ে ধরপাকড় চালাচ্ছে পুলিশ। মালদহেও তেমনি আজ পুলিশি অভিযান চলছিল। আর সেখানে পুলিশের হাতে ধরা খেলেন জনা কয়েক ব্লক স্তরের তৃণমূল নেতাও। কাজে জেলার প্রশাসনিক ভবনে এসেছিলেন। কিন্তু মুখে ছিল না মাস্ক। এদিকে পুলিশের সক্রিয়তা দেখে কেউ কেউ দৌড়ে পালাতে চাইলেন। কিন্তু ১০০ মিটারের দৌড়ে জিতল পুলিশই। ধরা খেয়ে মাস্কবিহীন মুখ তখন কাঁচুমাচু। ‘এবার থেকে পরব’, যেন পুলিশকে আশ্বাসবাণী দিচ্ছেন জননেতারা। যদিও সেসবে কান না দিয়ে অন্যান্যদের সঙ্গে তৃণমূল নেতাদেরও পাকড়াও করল পুলিশ।

সোমবার মাস্ক না পরা লোকজন দেখলেই সারাদিন ধরপাকড় চালাচ্ছিল মালদহ পুলিশ। তাতে ধরা পড়লেন তৃণমূল নেতারাও। শুধুমাত্র প্রশাসনিক ভবনের সামনেই এদিন আটক হন ৫০ জন। পুলিশ সূত্রে খবর এমনটাই। এদিকে হঠাৎ পুলিশের এই ধরপাকড়ে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে। আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করতে আসা মুখে মাস্কহীন তৃণমূল নেতারাও পুলিশের ভয়ে দৌড় লাগান। কিন্তু পুলিশের সঙ্গে পারলেন না দৌড়ের প্রতিযোগিতায়। যেতে হল থানায়।

এদিন এই মাস্কবিহীন মুখ খোঁজার পুলিশি অভিযানে যেমন সাধারণ মানুষকে জরিমানার মুখে পড়তে হল, একই দশা হল জননেতা থেকে চিকিৎসককেও। যেমন মোটরবাইক চেপে মাস্ক বিহীন মুখে একজনকে পুলিশ আটকাতেই দাঁত বের করে হেসে বললেন, ‘মাস্ক পরছি’। তাঁর বাইকের সামনে লেখা ‘ডাক্তার’। অথচ, তিনিই মাস্ক পরেননি! প্রশ্ন করতেই নিজের পরিচয় দিতে চাইলেন না। স্থানীয়দের মধ্যে আবার কাউকে দেখা গেল পুলিশ ধরপাকড় করছে, এই দৃশ্য দূর থেকে দেখে পকেট থেকে মাস্ক বের করে দ্রুত পরে নিলেন। তার পর পুলিশি নজরদারি থেকে বেরতেই আবার মাস্ক পকেটে। যেন মাস্কটা করোনা নয়, পুলিশের চোখ থেকে বাঁচার জন্য! অনেকে আবার গলায় মাদুলি করে মাস্কটা ঝুলিয়ে রেখেছেন। সারাদিন এমন প্রচুর মানুষকে পাকড়াও করল পুলিশ।

এক পুলিশ আধিকারিকের কথায়, “মুখে একটা মাস্ক পরতে কেন এত অনীহা বুঝি না! পকেটে আছে, ব্যাগে আছে। অথচ মুখে পরব না।” তবে এদিনের ধরপাকড়ের পর তাঁর আশা, এবার হয়ত ভয়ে মাস্ক পরে রাস্তায় বেরবেন। সজাগ হওয়াই তো বাঞ্ছনীয়। রাজ্যে ফের যে উর্ধমুখী করোনার গ্রাফ।

আরও পড়ুন: Sayantan Basu: ‘সীমান্তে চোরাচালানের কাজে রয়েছে তৃণমূল ও পুলিশ, বিএসএফ ব্যবস্থা নিক’, সায়ন্তনের মন্তব্যে তীব্র বিতর্ক