
মালদহ: থানায় ঢুকে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবের ছবি দেখা গিয়েছে বাংলায়। তাণ্ডব থেকে বাঁচতে থানার ভিতরেই টেবিলের তলায় সেঁধিয়ে গিয়েছিলেন পুলিশকর্মীরা। তা নিয়ে বিস্তর রাজনৈতিক চাপানউতোর হয়েছিল। এবার পুলিশকে বেল্ট দিয়ে মারার ছবি সামনে এল। অভিযুক্ত এক তৃণমূল নেতা। ঘটনাটি মালদহের। ঘটনায় তৃণমূলকে তোপ দেগেছে বিজেপি।
গতকাল চাঁচলে বিজেপির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বেধেছিল। অভিযোগ, সেই সময় কয়েকজনকে নিয়ে হাজির হন স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন ব্লক যুব সভাপতি জয়ন্ত দাস। কোমরের বেল্ট খুলে এলোপাথাড়ি মারতে শুরু করেন তিনি। সেইসময় গন্ডগোল থামাতে এসেছিলেন চাঁচল থানার এএসআই সমীর কুমার সিনহা। তাঁকেও বেল্ট দিয়ে পেটান ওই তৃণমূল নেতা। সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, সাদা টি শার্ট পরে, কোমরে সার্ভিস রিভলবার নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত এএসআই। ফোনে কথা বলতে বলতে গন্ডগোল থামানোর চেষ্টা করছেন। সেই সময় স্যান্ডো গেঞ্জি পরে জয়ন্ত দাস বেল্ট দিয়ে সামনে যাকেই পাচ্ছিলেন, তাঁকে মারছিলেন। তাঁর সেই মার থেকে ছাড় পাননি এএসআই-ও। বিজেপির দুই গোষ্ঠী এবং তৃণমূলের মারামারির ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। তবে অধরা তৃণমূল নেতা জয়ন্ত দাস।
এই নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ওই এলাকার মিনি কিংবা লোকাল অনুব্রত। আর এই ঘটনার জন্য তো দায়ী পুলিশ। এদের যদি আজ মাথায় না তুলত, এরা মাথায় উঠে নাচতে পারত না। পুলিশ এখন মন্দিরের ঘণ্টা হয়ে গিয়েছে। পুলিশের লাঠির আর জোর নেই। তৃণমূলের লোকেরা ভাবে ওটা বাঁশি। যেদিন পুলিশ বোঝাতে পারবে যে ওঠা লাঠি, সেদিন পুলিশের গায়ে হাত দেওয়ার সাহস পাবে না। ”
ঘটনাটি নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই তৃণমূল নেতা নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, “আমি এখনও এর সত্যতা খতিয়ে দেখতে পারিনি। তবে এমন ঘটলে দলকে জানাব। দল নিশ্চয় ব্যবস্থা নেবে। যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই সবাই মানতে বাধ্য থাকবে।”
ঘটনার নিন্দা করে প্রাক্তন পুলিশকর্তা সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশের গায়ে হাত দেওয়া খুবই অন্যায় কাজ। আর এখানে তো পুলিশ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে গিয়েছিল। কাউকে মারধর করতে যায়নি। পুলিশের গায়ে হাত তোলা হবে কেন?”