মালদা: ক্লোজ করে দেওয়া হল মালদার সাব-ইন্সপেক্টর সমীর সাহাকে। তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে রীতিমত বিরক্ত হয়ে যান তিনি। সাহস করে বলে ফেলেন, ‘এই শা…দের গোষ্ঠী কোন্দল থামবে না।’ তারপরই সেই অফিসারকে ক্লোজ করা হল।
মালদার মানিকচকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। সেখানেই মানিকচক থানার সাব ইন্সপেক্টরকে ক্লোজ করে দিল জেলা পুলিশ। সূত্রের খবর, গত দু’দিন আগে মানিকচকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালুপুরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা। অভিযোগ, মুড়ি-মুড়কির মতো বোমাবাজি হয়। বেশ কয়েকটি বাড়িও ভাঙচুর করা হয়। সেই সময় ঘটনাস্থলে হাতে অস্ত্র নিয়ে এই সাব ইন্সপেক্টরকে দেখা যায় রাগী মেজাজে। ছবি ভাইরাল হয়ে পড়ে মুহূর্তে। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের উদ্দেশে কটূক্তি করতেও শোনা যায় তাঁকে। এরপরই ওই এসআই-কে ক্লোজ করা হয়।
বিজেপির দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, ‘এই পুলিশ আধিকারিক সেখানে তাঁর কর্তব্য পালন করতে গিয়েছিলেন। যেহেতু এটা শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল, সেই কারণে একে ক্লোজ করা হয়েছে।’ পাশাপাশি তিনি আরও বলেন,’বর্তমানে এমন একটা অবস্থা হয়েছে যে সত্যি কথা বলবে তা সে পুলিশ আধিকারিক হোক, সাধারণ মানুষ হোক, বিরোধী দলের নেতা নেত্রী হোক, তাদেরকে ক্লোজ করে দেওয়া হবে। যাঁরা চাকরি করেন তাঁদের সরকারি ভাবে ক্লোজ করবে। যাঁরা চাকরি করেন না তাঁদের বাড়িতে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে। বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করা হবে।’
তৃণমূলের মালদা জেলার মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, ‘পুলিশ সুপার যা কাজ করেছেন সেটা সময়োপযোগী। এটা তদন্ত সাপেক্ষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। তার সঙ্গে এটা সামঞ্জস্য। তবে ওই পুলিশ আধিকারিকের কোনও ত্রুটি রয়েছে। যার ফলে এসপি মনে করেছেন তাঁকে শাস্তি দিতে হবে। এটা সাহসী সিদ্ধান্ত।’ যদিও, গোটা বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপার প্রদীপ যাদবের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।