মালদা: বান্ধবীর বাড়ি যাচ্ছি বলে বেরিয়েছিল। কিন্তু একটা গোটা রাত কাটলেও বাড়ি ফেরেনি মেয়ে। পরে উদ্ধার হল তার রক্তাক্ত দেহ। মেয়েটি দশম শ্রেণিতে পড়ত বলে খবর। গণধর্ষণের পর তার মাথা থেঁতলে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান। ঘটনায় গ্রেফতার একই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র।
মালদার ঘটনা। দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর বয়স সতেরোর আশেপাশে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকাল নাগাদ রেললাইনের পাশ থেকে মাঠে কাজ করতে যাচ্ছিলেন কয়েকজন গ্রামবাসী। তাঁরাই প্রথমে লক্ষ্য করেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে এক কিশোরী। আর দেরী না করে তড়িঘড়ি তারা খবর দেয় বৈষ্ণবনগর থানায়।
ওই কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ ‘বান্ধবীর বাড়ি পড়তে যাচ্ছি’ বলে বের হয় । কিন্তু অনেকটা রাত গড়িয়ে গেলেও বাড়ি ফেরে না। বাড়ির সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজির পরে বৈষ্ণবনগর থানায় মিসিং ডাইরি করেন। এরপর আজ সকালে গ্রামবাসীদের মুখে মেয়েটির মা জানতে পারেন এলাকা থেকে কিছু দূরে এক কিশোরীর দেহ পড়ে রয়েছে । তড়িঘড়ি সেখানে গিয়ে কিশোরীর পরনের কাপড় দেখেই দেহটি শনাক্ত করেন তাঁর মা। কিশোরীর মায়ের অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে। পাশের গ্রামের এক ছেলের সঙ্গে তাঁর মেয়ের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে। এই খুনের পেছনে ছেলেটির মদত রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
এদিকে যেই ছেলেটির বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই নাবালকও দশম শ্রেণির পড়ুয়া। গোটা বিষয়টি মিথ্যা বলে সে জানিয়েছে। ওই নাবালকের দাবি, গত তিন মাস আগে মেয়েটির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল, কিন্তু বাড়িতে জানাজানি হওয়ার তিন মাস পর থেকে তাঁদের আর কোনও রকম যোগাযোগই ছিল না।
ইতিমধ্যেই ওই কিশোরীর মা ওই যুবক ও তাঁর বাবার বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশ এই ঘটনায় ওই স্কুল পড়ুয়া কিশোরকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাস্থল থেকে ওই কিশোরীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে। প্রাথমিক অনুমান গণধর্ষণের পরে খুন করা হয়েছে তাকে। কারা কীভাবে এই ঘটনায় যুক্ত তা খতিয়ে দেখতে নাবালককে জেরা করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Malda Sand Trafficking: রমরমিয়ে চলছিল বালি পাচার, পুলিশের হাতে গ্রেফতার ৪ তৃণমূল কর্মী