Malda: ‘দাগি’-র তালিকায় তৃণমূল নেতা, চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তোলারও অভিযোগ

Tainted Candidate in Malda: এদিন তাঁদের বাড়ি গেলেও পাওয়া যায়নি। ওই তৃণমূল নেতা অন্যায়ভাবে চাকরি পেয়েছেন বলে মানতে রাজি নন তাঁর বাবা জিন মহম্মদ। তিনি বলেন, তাঁর ছেলে যোগ্য প্রার্থী। পরীক্ষা দিয়েই চাকরি পেয়েছে। কেন এই তালিকায় ছেলের নাম আছে, তা তিনি জানেন না।

Malda: দাগি-র তালিকায় তৃণমূল নেতা, চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তোলারও অভিযোগ
'দাগি'-র তালিকায় তৃণমূল নেতার নামImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Aug 31, 2025 | 11:25 PM

মালদহ: স্ত্রী মালদহ জেলা পরিষদের সদস্য। আর তাঁর নাম উঠেছে ‘দাগি’ শিক্ষকের তালিকায়। আর সেই ‘দাগি’ শিক্ষক শুধু নিজে টাকা দেননি, চাকরি দেওয়ার নামে নাকি লক্ষ লক্ষ টাকাও তুলেছেন বলে গুরুতর অভিযোগ উঠল। মালদহের মোথাবাড়ি এলাকা থেকে ‘দাগি’ শিক্ষক তথা তৃণমূল নেতা সামসুদ্দিন আহমেদ লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন বলে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলছেন মোথাবাড়ির এলাকার মালদহ জেলা পরিষদের কংগ্রেস সদস্য সায়েম চৌধুরী।

সামসুদদ্দিন রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তাঁর স্ত্রী সারিকা খাতুন মালদহ জেলা পরিষদের সদস্য। স্কুল সার্ভিস কমিশন ‘দাগি’ শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশের পর থেকে সামসুদ্দিন ও তাঁর স্ত্রীকে প্রকাশ্যে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। এদিন তাঁদের বাড়ি গেলেও পাওয়া যায়নি। ওই তৃণমূল নেতা অন্যায়ভাবে চাকরি পেয়েছেন বলে মানতে রাজি নন তাঁর বাবা জিন মহম্মদ। তিনি বলেন, তাঁর ছেলে যোগ্য প্রার্থী। পরীক্ষা দিয়েই চাকরি পেয়েছে। কেন এই তালিকায় ছেলের নাম আছে, তা তিনি জানেন না।

ছেলে যোগ্য প্রার্থী বলে দাবি সামসুদ্দিনের বাবার

সামসুদ্দিনের বাবা যখন দাবি করছেন তাঁর ছেলে যোগ্য প্রার্থী, তখন মালদহ জেলা পরিষদের কংগ্রেস সদস্য সায়েম চৌধুরী বলছেন, শুধু নিজে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েই বসে থাকেননি সামসুদ্দিন। চাকরি দেওয়ার নামে এলাকা থেকে টাকাও তুলেছেন।

তালিকা প্রকাশের পর কোথায় গেলেন সামসুদ্দিন? জিন মহম্মদ বলছেন, তাঁর ছেলের শ্বশুরবাড়ির একজন মারা গিয়েছেন। সেইজন্য স্ত্রীকে নিয়ে সেখানে গিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অবশ্য দাবি, এবার টাকা চাইতে লোকজন হাজির হবে, এই ভয়েই ওই শিক্ষক তথা তৃণমূল নেতা স্ত্রী-সহ গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন। আত্মগোপন করে আছেন। সম্ভাবনা রয়েছে বাড়ির ভেতরেই লুকিয়ে থাকার। এদিকে এই নিয়ে সরগরম মালদহের মোথাবাড়ি।