Maldah: ‘হাতে স্যালাইন লাগিয়ে মৃত রোগীকেই স্থানান্তর’, ভয়ঙ্কর অভিযোগে কাঠগড়ায় সরকারি হাসপাতাল

Maldah: পরিবারের দাবি, ইঞ্জেকশন দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই অনিমার মৃত্য়ু হয়। কারণ রোগীর পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, অনিমার শরীরে কোনও সাড় ছিল না। চিকিৎসকরাও নিজেদের মধ্যে কিছু একটা আলোচনা করছিলেন।

Maldah: 'হাতে স্যালাইন লাগিয়ে মৃত রোগীকেই স্থানান্তর', ভয়ঙ্কর অভিযোগে কাঠগড়ায় সরকারি হাসপাতাল
মৃত মহিলার স্বামীImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 19, 2023 | 12:09 PM

মালদহ: মৃত রোগীর হাতেই স্যালাইন লাগিয়ে অন্যত্র রেফার করার অভিযোগ উঠল সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হবিবপুরের মোদিপুকুর হাসপাতালে। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, রোগীর হাতে ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরই মৃত্য়ু হয়েছে। কিন্তু তাঁরই হাতে আবার স্যালাইন লাগিয়ে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম অনিমা বর্মন(৩৫)। তাঁর স্বামী পরিতোষ বর্মন।

অনিমা বামনগোলার মোদিপুকুর এলাকার বাসিন্দা। তাঁর এক ছেলে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২-৩ দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন অনিমা। সোমবার প্রায় ৬ টা নাগাদ বাড়িতে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা তাঁকে মোদিপুকুর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, এমনও কোনও আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি ছিল না। রোগী নিজেই হেঁটে হাসপাতালে যান। মাথা ব্যথা ছিল। তাছাড়া আর কোনও সমস্যা সেভাবে প্রকট হয়নি। সেখানে এক চিকিৎসক তাঁকে একটা ইঞ্জেকশন দেন।

পরিবারের দাবি, ইঞ্জেকশন দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই অনিমার মৃত্য়ু হয়। কারণ রোগীর পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, অনিমার শরীরে কোনও সাড় ছিল না। চিকিৎসকরাও নিজেদের মধ্যে কিছু একটা আলোচনা করছিলেন। তারপর তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

তবে সেখানে নিয়ে যেতেই চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, হাসপাতালে আনার আগেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। রোগীর পরিবারের সদস্যরা তখন মোদিপুকুর হাসপাতালে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।

রোগীর স্বামী বলেন, “তিন দিনের জ্বর ছিল। আমি ডাক্তার দেখাই। ওষুধ খেয়ে সুস্থও হয়ে যায়। আমি যখন গতকাল হাসপাতালে নিয়ে যাই, জ্বর ছিল না। মাথা তুলতে পারছিল না, বমি করছিল। খাওয়ার রুচি ছিল না। আমি ভেবেছিলাম, স্যালাইন দিতে হবে। মাথা ব্যথা ছিল মারাত্মক। দু’জন নার্স এসে স্যালাইন ঝুলিয়ে দেন। তার আগে তিনটে ইঞ্জেকশন দেন। হঠাৎ দেখি চোখ উল্টে যাচ্ছে।” কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। বলেন, “ভালো তো করতে হাসপাতালে নিয়ে গেছিলাম। ভালো তো করতে পারলামই না, উল্টে চলে গেল আমাকে ছেড়ে।”

বিএমওএইচ সুদীপ কুণ্ডু বলেন, “রোগীর পরিস্থিতি খারাপ ছিল। স্যালাইন ইঞ্জেকশন দিলেই তো রোগী রেসপন্স করতে শুরু করে না। রোগীর অবস্থার আরও অবনতি হয়। তখন চিকিৎসক অ্যাম্বুলেন্স করেই মালদহে পাঠিয়ে দেন। রোগীকে যখন আনা হয়েছিল, তখনই অবস্থা খারাপ ছিল।”