৫০ লাখের বিনিময়ে ভোটের টিকিট! দলীয় বিক্ষোভে ঘরবন্দি ডালুবাবু

বিক্ষোভের জেরে কার্যত নির্বাচনী প্রচারে না গিয়ে কোতোয়ালির কংগ্রেস ভবনে কার্যত ঘরবন্দি হলেন সাংসদ তথা মালদহ জেলা কংগ্রেসের সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরী (Abu Hasem Khan Choudhury)।

৫০ লাখের বিনিময়ে ভোটের টিকিট! দলীয় বিক্ষোভে ঘরবন্দি ডালুবাবু
টাকার বিনিময়ে প্রার্থী করার অভিযোগে উত্তাল কোতোয়ালি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 22, 2021 | 4:54 PM

মালদহ: ৫০ থেকে ৭০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে জেলার এক একজনকে একুশের ভোটে (West Bengal Assembly Election 2021) লড়ার টিকিট দিয়েছেন। শুধু এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগেই থেমে থাকলেন নেতাকর্মীদের একাংশ। তাঁদের বিক্ষোভের জেরে কার্যত নির্বাচনী প্রচারে না গিয়ে কোতোয়ালির কংগ্রেস ভবনে কার্যত ঘরবন্দি হলেন সাংসদ তথা মালদহ জেলা কংগ্রেসের সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরী (Abu Hasem Khan Choudhury) ওরফে ডালুবাবু।

সোমবার মালদহের রতুয়া বিধানসভার কংগ্রেস প্রার্থী নাজিমা খাতুনের নাম প্রত্যাহার করার দাবি তোলেন বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতা কর্মীরা। তাঁদের দাবি, মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে তাঁকে প্রার্থী করেছেন ডালুবাবুরা। এ নিয়ে কোতোয়ালি ভবনে জড়ো হন বহু কংগ্রেস নেতাকর্মি। টায়ার জ্বালিয়ে ভবনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তাঁরা। যার ফলে প্রচারে বেরোনোর প্রস্তুতি নিয়েও ঘরে আটকে পড়েন আবু হাসেম খান চৌধুরী। এ দিকে গেটের বাইরে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়তে থাকে। পরিস্থিতি সামলাতে ছুটে যায় ইংরেজবাজার থানার আইসি-সহ পুলিশ বাহিনী। কিন্তু তাতেও সহজে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পুলিশের সামনেও দফায় দফায় বিক্ষোভ চলতে থাকে। এমনকি গেটের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েন বিক্ষুব্ধ কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা।

পরে পুলিশের সাহায্যে কয়েকজনকে নিয়ে আবু হাসেম খান চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠকে বসানো হয়। কিন্তু তাতেও সমাধান সূত্র বেরোয়নি। এ দিকে আবু হাসেমের বক্তব্য, প্রার্থী নির্বাচন করেছে প্রদেশ কংগ্রেস। সেখানে তাঁর কিছু করার নেই। অন্যদিকে এখনও পর্যন্ত রতুয়ায় প্রার্থী বদলের দাবিতে অনড় বিক্ষুব্ধরা। এই ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে মালদা জেলা কংগ্রেস। একদিকে জোট নিয়ে জট তার মধ্যে কংগ্রেসের মধ্যেই এই বিক্ষোভ মালদায় বেকায়দায় ফেলে দিল কংগ্রেসকে, মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের।

একুশের বিধানসভা ভোটে বাম ও আইএসএফের জোটসঙ্গী কংগ্রেস। কিন্তু কিছু দিন আগে ডালুবাবু মন্তব্য করেছিলেন বিধানসভা ভোটের ফল ত্রিশঙ্কু হলে কংগ্রেস তৃণমূলকে সমর্থন করবে। যা নিয়ে তীব্র আলোড়ন শুরু হয় দলের অন্দরে। পরে অবশ্য নিজের অবস্থান বদল করেন মালদহ জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী।

আরও পড়ুন: বিধান রায়ের আদর্শ সামনে রেখেই বাংলা গড়ার প্রতিশ্রুতি, ইস্তাহার প্রকাশ কংগ্রেসের

বলেন, ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় কিছু সংবাদমাধ্যমের বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এ সব বলে ফেলেছিলেন। কিন্তু তা সত্যিই উচিত হয়নি। সেই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতার বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে ভোটের টিকিট দেওয়ার মতো চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন তাঁর দলের একাংশই।