Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘আমাদের তো খেলায় নেওয়াই হচ্ছে না, মাঠের বাইরে হাততালি দেওয়া ছাড়া কাজ নেই’, বেআব্রু তৃণমূলের সংগঠন

ভোট আবহে (West Bengal Assembly Election 2021) একেবারে বেআব্রু মালদায় (Maldah) তৃণমূলের (TMC) সংগঠন।

'আমাদের তো খেলায় নেওয়াই হচ্ছে না, মাঠের বাইরে হাততালি দেওয়া ছাড়া কাজ নেই', বেআব্রু তৃণমূলের সংগঠন
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Mar 16, 2021 | 2:03 PM

মালদা: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলছেন খেলা হবে, কিন্তু আমরাতো খেলতেই পারবো না। আমদের খেলায় নেওয়া হয়নি। মাঠের বাইরে আমরা। খুব বেশি হলে, মাঠের বাইরে দর্শকাশনে বসে হয়তো শুধুই হাততালি দেব।” বক্তব্য মালদার তৃণমূলের প্রাক্তন সহ সভাপতি-সহ প্রথম সারির নেতাদের। আর তাতেই ভোট আবহে (West Bengal Assembly Election 2021) একেবারে বেআব্রু মালদায় (Maldah) তৃণমূলের (TMC) সংগঠন।

উল্লেখ্য, প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরই মালদায় ব্লকে ব্লকে তৃণমূল নেতা কর্মীদের ক্ষোভ প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। রয়েছে পিকের টিমের বিরুদ্ধেও অভিযোগ। বিক্ষুব্ধদের দাবি, দলের মঙ্গল পিকের টিম করছে না, উলটে বড় ক্ষতি করে দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই জেলা জুড়ে তৃণমূল নেতা কর্মীদের এমন অসন্তোষ, ক্ষোভ সামনে আসায় চরম বিপাকে পড়েছে তৃণমূল। কীভাবে ভোটের আগে জেলার ব্লকে ব্লকে ক্ষুব্ধ নেতা কর্মীদের মন গলানো যায়, তাই নিয়ে পরিকল্পনা শুরু করা হয়েছে। এই নিয়ে বৈঠকেও বসেন জেলার নেতারা।

উল্লেখ্য, হুইল চেয়ারে বসেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘খেলা হবে।’ এমনকি অভিমান ভুলে একসঙ্গে কাজ করার পাঠও দেন নেত্রী। সেই প্রসঙ্গেই বিভিন্ন ব্লকের তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি সহ অন্যান্য নেতাদের বক্তব্য, “খেলা হবে স্লোগান তুলে আমদের মাঠ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। দর্শকের আসনে খুব বেশি হলে হাততালি দেওয়া ছাড়া আর কোন কাজ নেই।” তাঁদের অভিযোগ, তাঁরাই জনসাধারণের সঙ্গে রয়েছেন। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর প্রার্থীরা প্রচারে নেমে পড়েছেন। অথচ তাঁদের ডাকা হচ্ছে না। কোনও কর্মসূচি জানানো হচ্ছে না।

আরও পড়ুন: গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার হুমকি! হেস্টিংসে বিজেপি দফতরের সামনে কর্মীদের ব্যাপক বিক্ষোভ

সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্য কোনও মিডিয়ার মাধ্যমে দলের কর্মসূচি জানতে পারছেন। জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটনেরও কোনও ভূমিকা নেই। ইতিমধ্যেই উত্তর ও দক্ষিণ মালদার বিভিন্ন ব্লকে নেতা কর্মীদের অসন্তোষ সামনে এসেছে। কেউ কেউ সরাসরি বিষয়টি নিয়ে দরবার করেছেন রাজ্য নেতৃত্বের কাছেও। এই নিয়ে আলোচনায় বসে তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব। হেমন্ত শর্মার বক্তব্য, “খুব তাড়াতাড়ি বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলা হবে।”