মালদহ: হাওড়ার জটুবাবুর পর এবার মালদহের সাবিত্রী মিত্র (Sabitri Mitra)। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) স্টাইলে এবার নিজেই নিজেকে প্রার্থী ঘোষণা করে দিলেন মালদহ জেলা তৃণমূলের নেত্রী। প্রাক্তন মন্ত্রীর এহেন ঘোষণায় চরম অস্বস্তিতে শাসক দল।
শুক্রবার ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর প্রার্থী তালিকা তৈরি প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে তৃণমূল (TMC)। কিন্তু আর তর সইল না সাবিত্রী দেবীর। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করে দিলেন তিনিই এবার মানিকচক বিধানসভা আসনের তৃণমূল প্রার্থী। দল বলার আগে নিজেই নিজেকে তাঁর এই প্রার্থী ঘোষণায় চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল শিবির। তবে এ নিযে এ পর্যন্ত প্রকাশ্যে কিছু জানাননি তাঁরা।
২০১৬ সালের মতো এবারের ভোটেও ২৯৪ কেন্দ্রে তিনিই প্রার্থী বলে ঘোষণা করেছেন মমতা। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনী প্রচারের শেষ লগ্নে তাঁর এই ঘোষণা অনেক ভোটারের মন দুলিয়েছিল। তবে তার পটভূমি ছিল ভিন্ন। কিন্তু এবার খানিক দলীয় নেত্রীর ঢঙেই নিজেই নিজেকে মানিকচক বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করলেন তৃণমূল নেত্রী সাবিত্রী মিত্র। এখন সাবিত্রীর ঘোষণায় দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগও উঠেছে।
মালদা জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল কোনও নতুন ঘটনা নয়। গত কয়েক দিনেই মোশারফ হোসেন-সহ একাধিক তৃণমূল নেতা ফের যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসে। আরও বেশ কয়েকজন নেতার রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে চলছে জল্পনা। এদিকে দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে সাবিত্রী দেবী নিজেও বহুবার সতর্ক করেছেন মালদা জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে। কিন্তু তাতে যে খুব একটা লাভ হয়নি, এই ঘটনা তারই প্রমাণ।
কিছুদিন আগে হাওড়ার শিবপুরের বিধায়ক জটু লাহিড়ি তৃণমূল নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে তোপ দেগে নিজেই নিজেকে ওই কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করেছিলেন। এবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল মালদহতেও। এখন দেখার তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব এ ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ করেন কিনা।