CID: এনামুলের ভাগ্নের গোডাউন সিল করল সিআইডি, ভিতরে নাকি তথ্যের ভাণ্ডার

Malda News: গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর নিরাপত্তারক্ষী সায়গল হোসেনও।

CID: এনামুলের ভাগ্নের গোডাউন সিল করল সিআইডি, ভিতরে নাকি তথ্যের ভাণ্ডার
সিআইডি-র স্ক্যানারে এনামুল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 24, 2022 | 6:51 PM

মালদহ: গরু পাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের তিন ভাগ্নে গত কয়েকদিন ধরেই তদন্তকারীদের স্ক্যানারে। এবার তাঁদের নামে থাকা গোডাউন সিল করল সিআইডি। এনামুলের তিন ভাগ্নে জাহাঙ্গির আলম, হুমায়ুন কবীর ও মেহেদি হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে ইতিমধ্যেই। শুক্রবার রাতে ইংরেজবাজারের সুস্তানি মোড় এলাকায় অভিযান চালান সিআইডির আধিকারিকেরা। দীর্ঘক্ষণ গোডাউনের এক কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাঁরা। এরপরই সিল করে দেওয়া হয় এনামুল হকের ভাগ্নের গোডাউন।

অভিযোগ, বিশাল বাগানকে সাফ করে কয়েক বছর আগে বিশাল গোডাউনটি তৈরি করেন এনামুলের ভাগ্নে। প্রায় ৮ বিঘা জমির উপর এই গোডাউন। একেবারে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে। এক সময় এই এলাকা আমবাগান, লিচুবাগানে ভরা ছিল। সেই বাগান সাফ করে তৈরি করা হয় বিশাল গোডাউন। এলাকার লোকজনের এই গোডাউন নিয়ে দারুণ কৌতূহল।

এলাকার লোকজন জানান, গত মাস দেড়েক ধরে এখানে কাজকর্ম প্রায় বন্ধ। মুর্শিদাবাদের এক বাসিন্দা এই গোডাউনের ম্যানেজার ছিলেন। ইতিমধ্যেই তাঁকে সিআইডি আটক করেছে। অন্যদিকে এনামুলের তিন ভাগ্নে জাহাঙ্গির, হুমায়ুন কবীর, মেহেদি হাসানকে খুঁজছে সিআইডি। সিআইডি সূত্রে খবর, এই গোডাউনে বেশ কিছু মূল্যবান সামগ্রী রয়েছে। বস্তাবন্দি অনেক জিনিসও রাখা। সূত্রের দাবি, সেখানে বেশ কিছু কাগজপত্র, নথিও রাখা আছে। কোনওভাবেই এই গোডাউন থেকে যাতে কোনও কিছু সরানো না যায়, সে কারণেই তা সিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর নিরাপত্তারক্ষী সায়গল হোসেনও। অভিযোগ, এই সায়গলের সঙ্গে এনামুলের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল। বীরভূমের যে করিডর ধরে গরু পাচার হত, তাতে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেদিকটা ‘দেখে দিতেন’ সায়গলই। বছর চারেক আগে বিশু শেখ সিন্ডিকেটের নাম উঠে আসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। সেই সিন্ডিকেটের মাথার খোঁজ পড়তেই উঠে আসে এনামুল হকের নাম। ২০১৮ সালের মার্চে গ্রেফতারও হন এনামুল। এরপর জামিন পান। পরবর্তীকালে

প্মারসে গ্রেফতার করা হয় এনামুলকে। সেই প্রথম সামনে আসে গরু পাচারের রমরমার বিষয়টি। প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে সিবিআই। এরপর ফের ইডির হাতেও গ্রেফতার হন এনামুল। সম্প্রতি এই গরু পাচার মামলায় এনামুল, সায়গলদের পাশাপাশি আব্দুল লতিফ, টুলু মণ্ডল, কেরিম শেখ, ভাদু শেখ, সোনা শেখদের নামও উঠে এসেছে। সিআইডিও ২০১৯ সালের একটি মামলায় মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ, সুতি ও জঙ্গিপুরে তদন্ত শুরু করছে। জেনারুল শেখ নামে একজনকে গ্রেফতারও করেছে। সম্প্রতি এনামুলের তিন ভাগ্নের ১২টি সংস্থারও খোঁজ পায় সিআইডি বলে খবর। কলকাতার বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে চলে তল্লাশিও। এরপরই মালদহেও শুরু হয় তল্লাশি।