মালদা: মহারাষ্ট্রের পুনে থেকে উদ্ধার মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে অপহৃত এক যুবতী। প্রায় দেড় মাস আগে তাঁকে অপহরণ করেছিল পাঁচ যুবক। অপহরণকারীদের গ্রেফতারও করা হয়েছে।
পরিবার সূত্রে খবর, যুবতির বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুরে। গত নভেম্বর মাসের ৬ তারিখে খোপাকাঠি এলাকায় একটি ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন তিনি। টাকা তুলে বাড়ি ফেরার পথে ফাঁকা রাস্তায় তার পথ আটকায় বাইক আরোহী পাঁচ যুবক। তরুণীর অভিযোগ, তার টাকা কেড়ে নিয়ে বাইকে তোলা হয়। মুখে কাপড় গুঁজে দেওয়া হয়। চিৎকার করলে ছুরি দিয়ে খুন করার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
প্রথমে এলাকার একটি জঙ্গলে লুকিয়ে রাখা হয়। তারপর পুনেতে নিয়ে যাওয় হয়। তিনি ওই যুবকদের চেনেন না বলে জানিয়েছেন যুবতী। যদিও ঘটনার পিছনে ভালোবাসার কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না তাও পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
যুবতী এদিন বলেন, “আমাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আমি তা জানতে চাই। কিন্তু ওরা সেই কথার কোনও উত্তর দেয়নি। উল্টে নিজেদের দুষ্কৃতী বলে পরিচয় দেয়। পাশাপাশি আমাকে বিয়ে করার হুমকি দিতে থাকে। আমি প্রতিবাদ করায় ওরা আমায় চাকু দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে।
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ যুবতীর মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে জানতে পারে সে পুনেতে রয়েছে। এরপর পুণেতে যান কুমেদপুর ফাঁড়ির এএসআই রাজীব পাল। তারপরেই যুবতীকে উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক অপহরণকারীকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম রবিউল হক! তার বাড়ি চাঁচলের পূর্ব দুর্গাপুর এলাকায়। যুবতী ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে যাওয়ার সময় তাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। দেড়মাস বাদে পুলিশের তৎপরতায় যুবতী উদ্ধার হওয়ায় খুশি পরিবারের লোকজন।
যুবতীর দিদি বলেন, “বোন ফিরে আসায় আমরা খুব খুশি। পুলিশের তৎপরতায় এটা সম্ভব হয়েছে। ওকে অনেক খুঁজলেও আমরা পাইনি। ওকে যে অপহরণ করা হয়েছে তা বুঝতে পারিনি। অভিযুক্তদের কঠোর সাজা চাই।”
আরও পড়ুন: Sidhu on Kejriwal: কেজরীবালকে ‘রাজনৈতিক পর্যটক’ ও ‘মিথ্যেবাদী’ বলে কটাক্ষ সিধুর
আরও পড়ুন: Man committed suicide: ফোন এসেছিল মোবাইলে, তারপরেই মৃত্যু! বাজার থেকে উদ্ধার শ্রমিকের ঝুলন্ত দেহ