মালদা : নাবালিকাকে বিয়ের জন্য জেলে যেতে হয়েছিল। জামিন পেয়ে কিছুদিন আগে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু, সেই প্রেমিকার অন্যের সঙ্গে বিয়ে হয়ে গিয়েছে শুনে আত্মঘাতী (suicide) হলেন এক যুবক। মৃতের নাম সঞ্জয় ঘোষ (২২)। ঘটনাটি মালদার মানিকচকের চৌকি মির্জাদপুর অঞ্চলের পঁচিশা গ্রামের।
এনায়েতপুর হাইস্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর কাজের তাগিদে ভিন রাজ্যে যান সঞ্জয়। জানা গিয়েছে, বছর খানেক আগে মালদার হবিবপুরের নাবালিকা সোমা সাহার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি । মাস দুয়েক আগে অন্যত্র পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন তাঁরা। নাবালিকা মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়েছে বলে পুলিশের কাছে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান নাবালিকার বাবা ও মা। সোমার বাবা-মার অভিযোগের ভিত্তিতে সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। বেশ কিছুদিন জেল হেফাজতে থাকার পর জামিনে মুক্তি পান বছর বাইশের সঞ্জয়।
কয়েকদিন আগে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার ভয়ে সোমা নিজের বাড়ি থেকে পালিয়ে সঞ্জয়ের বাড়ি চলে আসে। খবর পেয়ে জোর করে সোমাকে সঞ্জয়ের বাড়ি থেকে নিয়ে যান তার বাবা ও মামা। গতকাল লোক মারফত খবর আসে সোমার নাকি অন্যত্র বিয়ে দিয়েছেন তার বাবা-মা। আর এই খবর পেয়ে অবসাদে ভুগতে থাকেন সঞ্জয়। এরপর তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের বক্তব্য, মানসিক চাপেই আত্মহত্যা করেছেন সঞ্জয়। মানিকচক থানার পুলিশ এসে সঞ্জয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে দেহ পাঠানো হয়েছে।
নাবালিকাকে বিয়ে করায় পকসো আইনে গ্রেফতার করা হয়েছিল সঞ্জয়কে। মৃত যুবকের পরিবারের বক্তব্য, “আমাদের ছেলেটা চলে গেল। কিন্তু, ওই নাবালিকার পরিবার কী করে সাবালিকা না হওয়া সত্ত্বেও মেয়ের বিয়ে দিল।” তাহলে তাদের ছেলে বিয়ে করে কী অপরাধ করেছিল, এর উত্তর হাতড়াচ্ছে সঞ্জয়ের শোকতপ্ত পরিবার।