Mamata Banerjee: ‘নিশ্চয়ই লিভারটা বড়, না হলে এত বড় মধ্যপ্রদেশ!’, ভুঁড়ি নিয়ে মসকরা মমতার

TV9 Bangla Digital | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

May 30, 2022 | 6:47 PM

Purulia District Administrative Meeting: ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়াল দাঁড়াতেই মমতা বলেন, “আপনার এত বড় ভুঁড়ি কেন?” প্রশ্ন শুনেই অস্বস্তিতে পড়ে যান সুরেশ।

Mamata Banerjee: নিশ্চয়ই লিভারটা বড়, না হলে এত বড় মধ্যপ্রদেশ!, ভুঁড়ি নিয়ে মসকরা মমতার
ভুঁড়ি কমাতে সুরেশকে পরামর্শ মমতার

Follow Us

পুরুলিয়া: পুরুলিয়ার প্রশাসনিক বৈঠকে শুরু থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মেজাজ ছিল চড়া। প্রকল্পে দেরি, সরকারি দফতরের কাজে গাফিলতি- বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মমতার তীব্র ভর্ৎসনা ধেয়ে আসছে, তখন তটস্থ হয়েই বসেছিলেন বৈঠকে উপস্থিত জেলা প্রশাসনের আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা। বৈঠকের শেষ পর্বে মমতার মেজাজ বদলে দিল তাঁরই সতীর্থের ভুঁড়ি। ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়াল এলাকার সমস্যার কথা বলতে ওঠার পরই তাঁর ভুঁড়ির দিকে নজর যায় মমতার। যাবে নাই বা কেন। সুরেশের যা ভুঁড়ির যা বহর, তাতে নজর পড়া স্বাভাবিক। সেই ভুঁড়ি নিয়েই আলোচনা চলল বেশ কিছুক্ষণ। পাশাপাশি সুরেশকে শরীরচর্চার উপদেও দিলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া এই চ্যালঞ্জ নিতে প্রস্তুত সুরেশও। সভার পর তিনি জানিয়েছেন, পরের বার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এলে তিনি নিজের চেহারা পরিবর্তন দেখিয়ে দেবেন দলের নেত্রীকে।

ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়াল দাঁড়াতেই মমতা বলেন, “আপনার এত বড় ভুঁড়ি কেন?” প্রশ্ন শুনেই অস্বস্তিতে পড়ে যান সুরেশ। ভুঁড়ির থাকলেও তাঁর কোনও রোগ নেই বলে জানান মুখ্যমন্ত্রীকে। সুরেশ বলেন, “দিদি, না আমার সুগার আছে, না আমার প্রেশার আছে।” সুরেশের ‘কিচ্ছু নেই’ শুনে মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, “কিছু তো ডেফিনেটলি আছে। নিশ্চয়ই লিভারটা বড়! কিছু না থাকলে এত বড় মধ্যপ্রদেশ হয় কী করে!”

এর পর সুরেশ মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, “দিদি আমি প্রতিদিন তিন ঘণ্টা ব্যায়াম করি।” মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, “কী ব্যায়াম করেন দেখান তো দেখি!” গোটা হলের নজর তখন সুরেশের দিকে। সুরেশের ব্যায়াম দেখেই হাসতে হাসতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এ তো কপালভাতি করছেন! দিনে কত বার করেন?” সুরেশ জবাব দেন, “দিদি, এক হাজার বার!”

সুরেশ আগরওয়াল ঝালদায় তৃণমূল পরিচালিত পৌরসভার চেয়ারম্যান। এই নিয়ে দুই দফার চেয়ারম্যান হয়েছেন তিনি। তাঁর বাড়ি ঝালদার নামোপাড়ায়। দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁর এ রকম ভুঁড়ি রয়েছে। কেন তাঁর এ রকম ভুড়ি তাও জানিয়েছেন সুরেশ। রোজ সকালে পকোড়া খান বলেও জানিয়ছেন তিনি। নিজের ১২৫ কেজি ওজনের কথাও সভার মাঝেই জানিয়েছেন। চেহারা কমাতে সিদ্ধ ভাত খাওয়ার পরামর্শ তাঁকে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এক মাস সেই খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মমতা। দলের সুপ্রিমোর এই পরামর্শকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিচ্ছেন সুরেশ। বৈঠকের পর তিনি জানিয়েছেন, দিদি ছোট ভাইকে পরামর্শ দিয়েছেন। এটি সম্পূর্ণ ভাবে মানবেন তিনি। এবার যখন মুখ্যমন্ত্রী আসবেন তখন নতুন রূপে দেখা যাবে তাঁকে।

Next Article