চুঁচুড়া: তৃণমূল ক্ষমতায় থাকলে কতদিন পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? বছর দেড়েক আগে এই নিয়ে শাসকদলের অন্দরেই একাধিক ভবিষ্যদ্বাণী শোনা গিয়েছিল। তৃণমূলের একাংশ নেতা-নেত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখতে শুরু করেছিলেন, ২০২৪ সালের দিল্লি যাবেন দিদি (মমতা), আর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। সেইসময় তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, ২০৩৬ সাল পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন মমতা। তারপর দায়িত্ব গ্রহণ করবেন অভিষেক। বছর দেড়েক আগের কথাই আরও একবার শোনা গেল তৃণমূল মুখপাত্রর গলায়। আর এবার একই কথা বলার পিছনে বিরোধীদের ‘শকুনের নজর’ টেনে আনলেন তিনি।
২০১১ সাল থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে, দলে ধীরে ধীরে গুরুত্ব বেড়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এখন তিনি দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। রবিবার চুঁচুড়ায় এক অনুষ্ঠানে বিরোধীদের আক্রমণ করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রিত্বের প্রসঙ্গ টেনে আনেন কুণাল। তিনি বলেন, “অনেকে শকুনের মতো নজর দিয়েছে তৃণমূলের উপর। তৃণমূলকে ভাঙতে পারলে, তৃণমূলের ক্ষতি করতে পারলে পশ্চিমবঙ্গ দখল করা যাবে। সে গুড়ে বালি।” এরপরই তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, ২০৩৬ সাল পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর মুখ্যমন্ত্রী হবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
একইসঙ্গে মমতা ও অভিষেকের দিল্লি যাত্রা নিয়ে কুণাল বলেন, “দিল্লিতে আমাদের দুটো ঘোষিত কাজ আছে। একটা হল ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকার দাবি জানানো। আমাদের টাকা কেন দেওয়া হবে না, এটা তো রাজনীতি হচ্ছে। দ্বিতীয়ত হচ্ছে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক। তিনটি রাজ্যের হারের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে কংগ্রেস যদি স্পিরিটটাকে অটুট রেখে বৈঠক করে এবং মেকানিজমটা তৈরি করে, তাহলে লোকসভায় বিজেপির হার নিশ্চিত।”
এদিকে, ২০৩৬ সালে অভিষেকের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নিয়ে কুণালের বক্তব্যে এখনই সিলমোহর দিতে চান না শাসকদলেরই বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। এদিন তিনি বলেন, “২০৩৬ সাল পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন মন্তব্যের সঙ্গে সহমত। কিন্তু তারপর কিভাবে কে আসবে সেটা বলতে পারব না।”
কুণালের মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ২০২৬ পর্যন্ত এই সরকার থাকবে না। সেখানে এসব অনেক দূরের ভাবনা।