BJP joining: অখিল গিরির কেন্দ্রে ভাঙন তৃণমূলে, বিজেপিতে যোগ দাপুটে নেতার

BJP joining: এই দলবদলে খুশি বিজেপি নেতৃত্ব। আর যোগদান প্রসঙ্গে তীব্র কটাক্ষ করেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

BJP joining: অখিল গিরির কেন্দ্রে ভাঙন তৃণমূলে, বিজেপিতে যোগ দাপুটে নেতার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 21, 2023 | 9:02 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরির (Akhil Giri) বিধানসভা কেন্দ্রে বড়সড় ভাঙন। এলাকার দাপুটে তৃণমূল (TMC) নেতা সহ ১০ টি পরিবার তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দিলেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই দলবদলের জেরে কার্যত শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের মাথায় হাত পড়তে পারে বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। এই ঘটনায় পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনীতিতে ব্যাপক শোরগোল।

জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার বিকেলে রামনগর ২ নম্বর ব্লকের দেপাল গ্রাম পঞ্চায়েতের গান্ধী মোড় কালী মন্দির সংলগ্ন এলাকায় বিজেপির কিষান মোর্চার সভা আয়োজন করা হয়। সেই সভায় রামনগরের তৃণমূল নেতা মনোজিৎ মান্না সহ ১০ টি পরিবার বিজেপিতে যোগদান করে। নবাগত তৃণমূল নেতা ও সমর্থকদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী মৌমিতা দাস। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিজেপি মণ্ডল নেতৃত্ব থেকে শুরু করে জেলা নেতৃত্বের অনেকেই।

কাঁথি সাংগঠনিক জেলার মহিলা মোর্চার সভানেত্রী মৌমিতা দাস বলেন, ‘খুবই খুশির খবর। অনেক ভাইদের রক্ত ঝরেছে। অনেক মায়ের সম্মানহানি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে যাতে পদ্ম ফোটাতে পারি, তার জন্য সব রকমের চেষ্টা চালাচ্ছি। এই যোগদানে বাড়তি অক্সিজেন পেলাম। শাসকের রক্তচক্ষুকে আর কেউ ভয় পায় না।’

এদিন আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন মনোজিৎ মান্না। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমি কলেজ রাজনীতি করতাম। স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছিলাম। এই মামলা এখনও চলছে। তৃণমূল করা সত্ত্বেও স্থানীয় বিধায়কের অত্যাচার ও স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছি। তাঁর দাবি, আরও অনেক মানুষ তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করবেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসকে বুঝিয়ে দেওয়া শুধু সময় অপেক্ষা বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তবে এই যোগদান প্রসঙ্গে তীব্র কটাক্ষ করেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। দেপাল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তথা রামনগর ২ ব্লকের যুব তৃণমূলের সভাপতি অনুপ কুমার মাইতি বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস একটি চলমান গাড়ি। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে অনেকেই চলমান গাড়ি থেকে নীচে নেমে গিয়ে ছিলেন। আবারও ফিরে এসেছেন।’