বসিরহাট: মাটিয়া ধর্ষণ কাণ্ডে নমুনা সংগ্রহ করল ফরেনসিক টিম। মাটিয়া থানার ওসি, বাদুড়িয়ার এসডিপিও ছিলেন। চার সদস্যের প্রতিনিধি দল বুধবার সকালে মাটিয়া পৌঁছন। অভিজিৎ মাণ্ডির নেতৃত্বে ফরেনসিক টিম সেখানে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে। ঘটনাস্থল অর্থাৎ মাটিয়ার কালীতলা ব্রিজের কাছ থেকে মাটি সংগ্রহ করেন বিশেষজ্ঞরা। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় কাপড়ের অংশ। ওই এলাকায় আশেপাশের বাড়ির সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলছেন তদন্তকারীরা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে একটাই, ঘটনার পাঁচ দিন পর কেন নমুনা সংগ্রহ করছে ফরেনসিক টিম? আদৌ কি কোনও নমুনা পাবেন তাঁরা? আর যা পাওয়া যাবে, তা কি তদন্তের স্বার্থে আদৌ কার্যকরী হবে? বিষয়টি নিয়ে ভাবিত বিশেষজ্ঞদেরও একাংশ।
গত সপ্তাহে এক নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার মাটিয়া থানা এলাকায়। এক দিন নিখোঁজ থাকার পর শুক্রবার সকালে একটি পার্কের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে ওই নাবালিকাকে। তার শারীরিক অবস্থা খারাপ ছিল। প্রথমে তাকে বসিরহাট সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে আরজিকর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অত্যন্ত নির্মম অত্যাচারের শিকার হয়েছে ওই নাবালিকা।
চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, ধর্ষণ করা হয়েছে ওই নাবালিকাকে। তার ক্ষুদ্রান্ত্র ক্ষতবিক্ষক। গোপানাঙ্গে রয়েছে গভীর চোট। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নাবালিকা। ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। যাকে গ্রেফতার করা হয়, সে নাবালিকার মাসির প্রেমিক। এই গোটার ঘটনার পিছনে মাসি ও তার প্রেমিকের হাত রয়েছে। জানা যায়, মোবাইলে গেম খেলতে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কিছু টাকা ও একটি মোবাইল ফোন তার প্রেমিকের কাছে পৌঁছে দিতে বলে ওই নাবালিকার মাসি। মাসির কথামত সেই কাজ করতেও যায় বাচ্চা মেয়েটি। তারপর থেকেই সে নিখোঁজ।
ইতিমধ্যেই মাটিয়া ধর্ষণ কাণ্ড কলকাতা হাইকোর্টের নজরে আনা হয়েছে। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: আনারুলের নির্দেশেই বোমা ছোড়ে ওরা, ধরিয়েছিল আগুন! বগটুইকাণ্ডে সিবিআই র্যাডারে আরও দুই
আরও পড়ুন: আসানসোলের তৃণমূল বিধায়ককে কমিশনের শাস্তি, ৭ দিন প্রচারে নিষেধাজ্ঞা