মানে মন্দ, মাপে কম! মিড-ডে মিল সামগ্রী নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ অভিভাবকদের

এদিন, অভিভাবকদের তরফে এমন অভিযোগ পেয়ে ছুটে আসেন প্রধান শিক্ষক-সহ অন্যান্য শিক্ষকরা। সঙ্গে সঙ্গে বদলে দেওয়া হয় সামগ্রী।

মানে মন্দ, মাপে কম! মিড-ডে মিল সামগ্রী নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ অভিভাবকদের
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 10, 2021 | 3:40 PM

মালদা: করোনাকালে স্কুলে পঠনপাঠন বন্ধ থাকলেও লকডাউনের মধ্যেও রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলেই চলছে মিড-ডে মিল (Mid-day Meal) বিতরণের কাজ। এ বার, সেই মিড-ডে মিলের সামগ্রী নিয়েই দুর্নীতির অভিযোগ উঠল চিন্তামি চমৎকার প্রাথমিক স্কুলে। বৃহস্পতিবার, স্কুলে মিড-ডে মিল বিতরণ কালে পড়ুয়াদের অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, ন্যায্য় পরিমাপের চেয়ে কম পরিমাণ সামগ্রী তাঁদের ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। খবর পেয়ে স্কুলে আসেন প্রধানশিক্ষক-সহ অন্যান্যরা।

অভিভাবকদের অভিযোগ, নিয়ম মেনেই বৃহস্পতিবার মিড-ডে মিলের (Mid-day Meal) সামগ্রী অর্থাৎ চাল-ডাল, চিনি, সাবান দেওয়া হচ্ছিল। সেই সময়, অভিভাবকদের সন্দেহ হয়, যা জিনিস দেওয়া হচ্ছে তা মাপে কম। তাঁরা বাইরের একটি দোকানে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী বাইরের দোকানে গিয়ে ওজন করান। দেখা যায়, প্রতিটি প্যাকেটেই কমপক্ষে ৫০ গ্রাম সামগ্রী কম রয়েছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে সংখ্যাটি ছাপিয়ে গিয়েছে ৫০ গ্রামকেও। মিড-ডে মিল নিতে আসা এক অভিভাবকের কথায়, “আমাদের কোনও মাপ জানানো হয় না। এখানে কোনও ওজন মেশিনও নেই। প্যাকেট করে খালি দিয়ে দেয়। আমরা বুঝতে পারি না চট করে। আজ দোকানে নিয়ে গিয়ে ওজন করাতে হাতেনাতে ধরা পড়ল। অনেক সময়, খারাপ জিনিসও দিয়ে দেয়।” মূলত, চাল-ডাল, আলু, এসব ক্ষেত্রেই পরিমাণে কম দেওয়া হচ্ছে সামগ্রী বলে অভিযোগ অভিভাবকদের।

এদিন, অভিভাবকদের তরফে এমন অভিযোগ পেয়ে ছুটে আসেন প্রধান শিক্ষক-সহ অন্যান্য শিক্ষকরা। সঙ্গে সঙ্গে বদলে দেওয়া হয় সামগ্রী। বিদ্যালয়ের এক আধিকারিক সাফাইয়ের সুরে বলেন, “আসলে জিনিস কম দেওয়া হয় না। অনেকসময় হয়, যে জিনিস পচা বেরল, তখন হয়ত একটু কম পড়ে। ও তেমন কিছু না। তবে আমরা খবর পাওয়ার পরেই আজ জিনিস বদলে দিয়েছি।” যদিও, এই গোটা ঘটনায় মুখ খোলেনি বিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।

কিছুদিন আগেই, মেদিনীপুরের দাঁতনে মিড-ডে মিলের(Mid-day Meal) চাল বাড়িতে জমিয়ে রাখার অভিযোগে এক প্রধান শিক্ষকের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। মিড-ডে মিল নিয়ে দুর্নীতি কার্যত নতুন নয়। এই দুর্নীতির কথা ভেবেই একটি বিশেষ দল গঠন করে স্কুল শিক্ষা দফতর। আগে থেকে কোনও খবর না দিয়ে ওই সব নজরদার দল হঠাৎ হঠাৎ হানা দেয় বিভিন্ন স্কুলে। কারচুপি ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট পাঠানোর কাজ করে ওই বিশেষ দল। মূলত, মিড-ডে মিল দুর্নীতিতে রাশ টানতেই এই বিশেষ পদক্ষেপ করেছিল স্কুল শিক্ষা দফতর।

আরও পড়ুন: রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের উল্টো পথে হেঁটে দশম দ্বাদশ মানের পরীক্ষা নিতে প্রস্তুত বিশ্বভারতী, ঘোষণা করা হল দিন