Mid Day Meal: এক যুগ পর স্কুলে মিড ডে মিল, খিচুড়িতে মন ভরল পড়ুয়াদের

Koushik Ghosh | Edited By: Sukla Bhattacharjee

Apr 01, 2023 | 5:15 PM

ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতেই কয়েকজন মিলে এই স্কুলে মিড ডে মিল চালু করতে দিচ্ছিল না। অবশেষে পুলিশ-প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ১২ বছর পর মিড ডে মিল চালু করা সম্ভব হয়েছে।

Mid Day Meal: এক যুগ পর স্কুলে মিড ডে মিল, খিচুড়িতে মন ভরল পড়ুয়াদের
সুলতানপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের খাবার পরিবেশন করছেন বিডিও পুলক কান্তি মজুমদার।

Follow Us

ভগবানগোলা: দীর্ঘ ১২ বছর পর অবশেষে স্কুলে চালু হল মিড ডে মিল (Mid Day Meal)। ১ এপ্রিল, শনিবার ভগবানগোলা ব্লক-১ এর (Bhagwangola-1) ৫০ নম্বর সুলতানপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল চালু হল। বিডিও ও স্থানীয় থানার পুলিশ আধিকারিকের নেতৃত্বেই ১২ বছর পর সুলতানপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (Sultanpur Primary School) চালু হল মিড ডে মিল রান্না। স্বাভাবিকভাবেই খুশির হাওয়া খুদে পড়ুয়া, তাদের অভিভাবক থেকে স্কুলের শিক্ষকদের মধ্যে।

সুলতানপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতেই কয়েকজন মিলে এই স্কুলে মিড ডে মিল চালু করতে দিচ্ছিল না। অবশেষে পুলিশ-প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ১২ বছর পর মিড ডে মিল চালু করা সম্ভব হয়েছে। স্বভাবতই সকলে খুশি।

১২ বছর পর এদিন সুলতানপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল চালু হওয়ার প্রথম দিন স্কুলে খিচুড়ি রান্না হয়। রান্নার পর বিদ্যালয়ের খুদে পড়ুয়াদের স্কুলে বসিয়ে মিড ডে মিলের খাবার নিজের হাতে পরিবেশন করেন ভগবানগোলা-১ এর বিডিও পুলক কান্তি মজুমদার এবং ভগবানগোলা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক দীপক হালদার। শিশুদের মুখে মিড ডে মিলের খাবার তুলে দিতে পেরে পরিতৃপ্ত বিডিও পুলক কান্তি মজুমদার বলেন, “কয়েকজন নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এই বিদ্যালয়ের মিড ডে মিলের রান্না বন্ধ করে দিয়েছিল। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পরে আবার আজ থেকে মিড ডে মিলের রান্না চালু হল। এবার থেকে সরকারি নিয়ম মেনে প্রতিদিন মিড ডে মিল রান্না হবে।”

সুলতানপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহশিক্ষক সঞ্জয় কুমার সরকার বলেন, “১২ বছর পর আমাদের স্কুলে মিড ডে মিল রান্না হল। অন্যান্য স্কুলের মতো এবার আমাদের স্কুলের বাচ্চাদেরও মিড ডে মিল দিতে পারব। ফলে তাদের টিফিন নিয়ে সমস্যা থাকবে না। আমরা খুব খুশি।”

সবমিলিয়ে, ১২ বছর পরে সুলতানপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল চালু হওয়ায় খুশি স্থানীয় মানুষ থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা ।

Next Article