Mithun Chakraborty: ‘কোর কমিটি, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতি আমার কোনও লোভ নেই…’, TV9 বাংলায় অকপট মহাগুরু

পুরুলিয়া সফরে এসে TV9 বাংলা-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অকপট স্বীকারোক্তি করলেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, "মানুষের কাছাকাছি কে না আসতে চায়! গ্ল্যামার দুনিয়া থেকে বেড়িয়ে এলে আমি একটা অন্য লোক।"

Mithun Chakraborty: কোর কমিটি, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতি আমার কোনও লোভ নেই..., TV9 বাংলায় অকপট মহাগুরু
মিঠুন চক্রবর্তী

| Edited By: Sukla Bhattacharjee

Nov 23, 2022 | 5:54 PM

পুরুলিয়া: পদের প্রতি কোনও লোভ নেই, কেবল মানুষের কাছাকাছি আসতে চান। বুধবার পুরুলিয়া সফরে এসে TV9 বাংলা-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনই জানালেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, “কোর কমিটি, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতি আমার কোনও লোভ নেই। কেবল জনসংযোগ চাই।” এদিন পুরুলিয়ার লুধুড়কা গ্রামের জনসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে একপ্রস্ত জনসংযোগ সারেন বিজেপি নেতা।

এদিন মিঠুন চক্রবর্তী একেবারে জনসভার মঞ্চ থেকে সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা জানতে চান। বলেন, “আজ আমি কোনও ডায়ালগ দিতে আসিনি, আপনাদের কথা শুনতে এসেছি। আপনাদের যা জিজ্ঞাসা করার আছে, করুন। যার যা মনের দুঃখ-কষ্ট আছে,বলবেন।” এরপরই জনসভায় উপস্থিত অনেকে মহাগুরুর কাছে পেয়ে আবাস যোজনার ঘর না পাওয়া সহ বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। যদিও এভাবে জনসংযোগ তাঁর পূর্বপরিকল্পিত ছিল না বলে দাবি জানান বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, “প্রচার কমিটির সঙ্গে বৈঠক করতে এসেছিলাম। এত লোক হবে ভাবতে পারিনি। কী বলব আগে থেকে কিছু ভাবিনি। মনে হল লোকের সমস্যার কথা শুনি। তাই তাঁদের সমস্যার কথা বলতে বললাম।”

মিঠুন চক্রবর্তীর মানুষের কাছাকাছি পৌঁছনোর চেষ্টা অবশ্য এটাই প্রথম নয়। রুপোলি পর্দার হিরো হলেও বরাবরই তিনি মাটির কাছাকাছি থাকতে চেয়েছেন। সাধারণ মানুষের জন্য, সমাজের জন্য তিনি বিভিন্ন কাজ করেছেন। অলিতে-গলিতে ঘুরে থ্যালাসেমিয়ার জনসচেতনতা প্রচারের কথাও এদিন TV9 বাংলা-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তুলে ধরেন মিঠুন। তাঁর কথায়, “মানুষের কাছাকাছি কে না আসতে চায়! গ্ল্যামার দুনিয়া থেকে বেড়িয়ে এলে আমি একটা অন্য লোক।” রুপোলি পর্দার তারকা থেকে রাজনৈতিক নেতা হয়েও তিনি সেই পথ থেকে সরেননি। তবে বর্তমান রাজ্য-রাজনীতির পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলেও তাঁর দাবি। এপ্রসঙ্গে নাম না করে রাজ্যের শাসকদলকে কটাক্ষ করে মহাগুরু বলেন, “আমরা মাটিতে থেকে কাজ করতে চাই, হাওয়ায় ভাসতে চাই না।” এদিন সাধারণ মানুষ যেভাবে তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা জানান, অনেকে ছড়ার মধ্য দিয়ে বর্তমান অবস্থার কথা তুলে ধরেন। সেগুলি উপভোগ করেছেন বিজেপি নেতা। তাঁর কথায়, “অনেকে ছড়া লিখে শোনাল, এগুলো আশা করিনি। এগুলি আসলে তাদের একটা আবেগ। সেই আবেগ ছড়া করে শুনিয়েছে।”

এদিন লুধুড়কা গ্রামে দলীয় নেতার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ করা নিয়ে ইতিমধ্যে বিরোধী রাজনৈতিক মহলে নানান সমালোচনা শুরু হয়েছে। TV9 বাংলা-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই সমালোচনারও জবাব দেন মহাগুরু। তিনি বলেন, “আমি এখানে এসেও বড় জায়গায় থাকতে পারি, বড় হোটেলে খেতে পারি। কিন্তু সেটা না করে আমাদের দলীয় কর্মী, পুরুলিয়া জেলা সভাপতির বাড়িতে খেলাম। তার একটা কারণ, বাঙালি খাবার খাব। এছাড়া আরও একটি প্রধান কারণ, সবাই একসঙ্গে, এক জায়গায় বসে কথা বলতে পারব। ওখানে জেলা সভাপতি, বিধায়ক, স্থানীয় কার্যকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সকলের সঙ্গে দলের অবস্থা, আগামী দিনের ভোটের প্রচার নিয়ে এক দফায় আলোচনাও সাড়া হয়ে গেল।”