
পুরী: পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে বদলার দাবিতে ফুঁসছে গোটা দেশ। রণহুঙ্কার ভারতীয় সেনার। ভয়ে হাঁটু কাঁপছে পাকিস্তানের। এরইমধ্যে পুরীর মন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে এল এনএসজি-র বিশেষ প্রতিনিধি দল। এদিকে আর মাত্র কিছুদিন পরেই রথযাত্রা। তার আগে সেখানে এনএসজি-র আগমণ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। সূত্রের খবর, এদিন মূলত মন্দিরের ভিতরের ও বাইরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন এনএসজি-র কর্তারা।
সূত্রের খবর, শুধু নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখাই নয়, মন্দিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা লোকজন, মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেড় ঘণ্টা আলোচনাও করেন এনএসজি কর্তারা। ভুবনেশ্বর জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের তরফে এনএসজি-কে পূর্ণ সহায়তা করা হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, প্রতি বছরই রথযাত্রার দিন পুরীতে লাখো লাখো ভক্ত সমাগম হয়।
রথের দড়িতে একবার টান দিতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন অগনিত ভক্তের দল। তাই দেশের এই উত্তেজক পরিস্থিতিতে যাতে কোনও জনবহুল জায়গাতেই কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে নজর রয়েছে গোয়েন্দাদের। ঢেলে সাজানো হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অন্যদিকে পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর হামলার পর থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও বিষিয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই তৈরি হচ্ছে মক ড্রিলের জন্য। রাজ্যে রাজ্যে চলে গিয়েছে গিয়ে নির্দেশ। এই আবহে এনএসজি-র পুরী ‘ভ্রমণ’ যে বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।