Modi on Tribeni: ৭০০ বছর পর হুগলির ত্রিবেণীর তাৎপর্য ‘মন কি বাতে’ বোঝালেন নমো
Modi on Tribeni: এই বছর ১২ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি বাঁশবেরিয়ার ত্রিবেণীতে কুম্ভের আয়োজন করা হয়েছিল। আর ১৩ ফেব্রুয়ারি ছিল সেই পুণ্য়স্নান।
নয়া দিল্লি: পশ্চিমবঙ্গের বহু প্রাচীন তীর্থস্থান হল হুগলির (Hooghly) ত্রিবেণী (Tribeni)। ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে সেই ত্রিবেণীর কথা উঠে এল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) ভাষণে। আজ এই বছরের দ্বিতীয় ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন নমো। এ দিন ই-সঞ্জীবনী অ্য়াপ থেকে শুরু করে, UPI সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এর মধ্যেই ত্রিবেণী নিয়ে বলেন, “বন্ধুরা, বহু শতাব্দী ধরে একটি পবিত্র স্থান হিসেবে পরিচিত পশ্চিমবঙ্গের ত্রিবেণী। বিভিন্ন মঙ্গলকাব্য, বৈষ্ণব সাহিত্য, শাক্ত সাহিত্য এবং অন্যান্য বাংলা সাহিত্যকর্মে এর উল্লেখ পাওয়া যায়। এই মাসে সেই ত্রিবেণীতে কুম্ভ স্নানের আয়োজন করা হয়েছে। এই পুণ্যস্নানে আট লক্ষ মানুষ অংশ নিয়েছিলেন। তবে আপনি জানেন এটি কেন এত তাৎপর্যপূর্ণ? কারণ, ৭০০ বছর পর ফের এই প্রথাকে পুনরজ্জীবিত করা হয়েছে।”
তিনি ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান চলাকালীন বলেছেন, “কয়েক হাজার বছর ধরে এই প্রথা চলত। তবে দুর্ভাগ্যবশত ৭০০ বছর আগে এই প্রথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। স্বাধীনতার পরই পুণ্য স্নানের এই রীতি পুনরায় আরম্ভ হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তা করা হয়নি।” তিনি আরও বলেছেন, “দু’ বছর আগে স্থানীয় বাসিন্দা ও ‘ত্রিবেণী কুম্ভ পরিচালনা সমিতি’র যৌথ প্রয়াসে এই কুম্ভ স্নানের প্রথা ফের চালু করা হয়। এই আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত সকলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।” তিনি আয়োজকদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, “আপনারা কেবল একটি প্রথাকেই নতুন করে চালু করেননি। আপনারা ভারতীয় সংস্কৃতিকে রক্ষা করেছেন।”
উল্লেখ্য, মনে করা হয় গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতীর এই নদীর এক জায়গায় এসে মিলেছে এইখানে। তাই এর নাম ত্রিবেণী। এই বছর ১২ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি বাঁশবেরিয়ার ত্রিবেণীতে কুম্ভের আয়োজন করা হয়েছিল। আর ১৩ ফেব্রুয়ারি ছিল সেই পুণ্য়স্নান। ত্রিবেণীতে নতুন করে এই প্রথা শুরু করার ক্ষেত্রে উদ্যোগ নিয়েছিল জেলা ও রাজ্য প্রশাসনও। এবার এই প্রথা চালু করার জন্য প্রশংসায় মোদী।