
আরামবাগ-ঘাটাল-চন্দ্রকোনা: বিরাম নেই বৃষ্টির। ফুঁসছে রূপনায়ারণ, মুণ্ডেশ্বরী। অবস্থা খারাপ আরামবাগের। আট দিন ধরে প্লাবিত ঘাটাল পৌর এলাকা সহ একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। প্লাবিত হতে শুরু করল চন্দ্রকোণা এক ও দুই নম্বর ব্লকের বেশ কিছু এলাকা। রূপনারায়ণ ও মুণ্ডেশ্বরীর সংযোগস্থলে এবার দুইটি নদী উপচে পানশিউলি বাজার প্লাবিত হয়েছে। ইতিমধ্যেই চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫০টির ও বেশি গ্রাম জলমগ্ন। প্লাবিত মাঠের পর মাঠ। পিচ রাস্তার ওপর তিন থেকে চার ফুট জল দাঁড়িয়ে রয়েছে। বাড়ি বাড়ি ঢুকছে জল।
নৌকা,পানসি নিয়েই ভিতরের দিকের গ্রামগুলি থেকে মূল রাস্তার ধারের বাজারে আসছে মানুষজন। তবে এলাকার মানুষজনের দাবি ত্রাণ নয় রাস্তা চাই। কারণ রাস্তার ওপর দিয়ে কেবলমাত্র কোথাও কোমর সমান কোথাও বা হাঁটু সমান জল ঠেলে পেরিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। বাড়িতে অসুস্থ রোগী থাকলে তো আর কথাই নেই! ইতিমধ্যেই খানাকুল দু’নম্বর ব্লকে জরুরি ভিত্তিতে বন্যা নিয়ে একটি বৈঠক হয়েছে। যদিও আরামবাগের সাংসদ দাবি করেছেন পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রিপল ও ত্রাণ মজুদ আছে। এক বাসিন্দা বলছেন, “অবস্থা খুব খারাপ। কোনও রাস্তা জেগে নেই। বহু মানুষের বাড়িতে জল ঢুকে আছে। তাঁরা চালা করে আছে। খাবার-দাবার থেকে রান্নার গ্যাস সবই নৌকায় করে নিয়ে আসতে হচ্ছে।”
অন্যদিকে আট দিন ধরে প্লাবিত ঘাটাল পৌর এলাকা সহ একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। দাসপুরে বাড়ছে বন্যার জল। এদিকে এদিন সকাল থেকেই মেঘলা আকাশয মাঝেমধ্যে চলছে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। আর কত দিন এই জল যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে ঘাটালের বাসিন্দাদের? সঠিক উত্তর নেই কারও কাছেই। বন্যা কবলিত এলাকায় মাইকিং করে সচেতন করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফ থেকে।
প্লাবিত হতে শুরু করল চন্দ্রকোণা এক ও দুই নম্বর ব্লকের বেশ কিছু এলাকা। ইতিমধ্যে চন্দ্রকোনা যদুপুর ও চন্দ্রকোনা যাদবপুর এলাকায় শিলাবতী নদীর ভাঙা বাঁধ দিয়ে নদীর উপচে পড়তে শুরু করেছে। ডুবছে চাষের জমি। চরম ক্ষতির আশঙ্কা করছেন এলাকার কৃষকরা। ক্ষতি হবে ধান বীজ ও শাক-সবজির। অপর দিকে কেঠিয়া ও শিলাবতী নদীর জল বাড়ছে হু হু করে।