সামসেরগঞ্জ: স্বামীর সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হয়েছিল। সেই অপরাধে প্রাণ দিতে হল গর্ভবতী স্ত্রীকে। ওই মহিলার স্বামীই আচমকা পিছন থেকে এসে তাঁর পেটে, পিঠে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ। রবিবার বিকালে নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামসেরগঞ্জ থানার শেরপুর গ্রামে। যদিও একাজ করে রেহাই পায়নি স্ত্রী খুনে অভিযুক্ত স্বামী। গ্রামবাসী তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। তবে রমজানের (Ramzan) সময় দিনে-দুপুরে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
পুলিশ জানায়, মৃত গৃহবধূর নাম মোসলেমা খাতুন (১৯)। তিনি গর্ভবতী ছিলেন। সামসেরগঞ্জ থানার শেরপুর গ্রামে বাপেরবাড়িতে বসে বিড়ি বাঁধার সময়ই স্বামীর হাতে মোসলেমা খাতুন খুন হন বলে অভিযোগ। তাঁর দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে এবং মোসলেমার স্বামী শাহ আলমকে ইতিমধ্যেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর খানেক আগেই সামসেরগঞ্জ থানার শেরপুর গ্রামের মোসলেমা খাতুনের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ব্যাঙডুবি গ্রামের শাহ আলমের বিয়ে হয়। পেশায় কসাই শাহ আলম। সম্প্রতি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয় বলে অভিযোগ। যদিও তারপরেও তাঁদের সংসার ঠিকভাবেই চলছিল। গর্ভবতী হওয়ায় বাপেরবাড়িতে এসে ছিলেন মোসলেমা। এরপর এদিন হঠাৎ করেই শাহ আলম শ্বশুরবাড়ি আসে এবং মোসলেমাকে কুপিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ।
মোসলেমার পরিবারের তরফে জানানো হয়, এদিন দুপুরে ঘরের বাইরে উঠোনে বসে বিড়ি বাঁধছিলেন মোসলেমা। সেই সময় শাহ আলম শ্বশুরবাড়ি আসে এবং আচমকা পিছন থেকে মোসলেমার উপর আক্রমণ চালায়। মোসলেমার পিঠে, পেটে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে শাহ আলম ছুরির কোপ বসায় বলে অভিযোগ। এরপর মোসলেমা রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন এবং আর্ত চিৎকার করেন। তাঁর আর্ত চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তখন বেগতিক বুঝে পালানোর চেষ্টা করে শাহ আলম। কিন্তু, গ্রামবাসী পিছু ধাওয়া করে তাকে ধরে ফেলে এবং পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়েই সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং শাহ আলমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। মোসলেমার দেহটিও উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। গোটা ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।