
মুর্শিদাবাদ: সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর পুত্র চন্দন দাসকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় সোমবার ১৩ জনকে দোষীসাব্যস্ত করল জঙ্গিপুর আদালত। এই ১৩ জনের বিরুদ্ধে ৯০০ পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছিল বিশেষ তদন্তকারী দল। সাক্ষীদের বয়ান ও তথ্য খতিয়ে দেখে ৯ মাসের মধ্যে ধৃতদের দোষীসাব্যস্ত করল আদালত। আগামিকাল (মঙ্গলবার) সাজা ঘোষণা করবেন বিচারক।
ওয়াকফ সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে চলতি বছরে এপ্রিলে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকা। সেই বিক্ষোভের সময়ই ১২ এপ্রিল জাফরাবাদ গ্রামে খুন হন পিতা-পুত্র। জোড়া খুনের ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হয় বিজেপি। রাজনৈতিক দলগুলির নেতারা দাস পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যান। সরকারি আর্থিক সাহায্য নিতে অস্বীকার করে দাস পরিবার।
পিতা-পুত্র খুনের ঘটনায় বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠন করা হয়। খুনের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ওই ১৩ জনের বিরুদ্ধে ৯০০ পাতার চার্জশিট জমা দেয় SIT। চার্জশিটে সিটের তরফে উল্লেখ করা হয়, এই খুন পূর্ব পরিকল্পিত নয়। গ্রামে হিংসার সময় বাধা দিয়েছিলেন পিতা-পুত্র। বাধা পেয়েই পরেরদিন তাঁদের বাড়িতে ঢুকে বেপরোয়া ভাঙচুর চালানো হয়। তারপর তাঁদের নৃশংসভাবে খুন করা হয়। খুন, গণপিটুনি, হিংসা ছড়ানো-সহ একাধিক ধারায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় সিট।
কয়েকমাস ধরে শুনানি চলার পর এদিন ১৩ জনকে দোষীসাব্যস্ত করে জঙ্গিপুর আদালত। জোড়া খুনের বিচার প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে এদিন আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। আগামিকাল সাজা ঘোষণা করবেন বিচারক। দোষীসাব্যস্তদের কী সাজা হবে, তা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে।