
বেলডাঙা: গোটা রাজ্যেই পথ দুর্ঘটনার(Road Accident) পরিমাণ আগের থেকে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। হাজার সচেতনতামূলক প্রচার সত্ত্বেও বেপরোয়া চালকদের দৌরাত্ম্য কিছুতেই কমছে না। এরমধ্যে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন একই পরিবারের ৩ জন। মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের(Murshidabad) বেলডাঙা থানার অন্তর্গত ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন রাস্তায়। এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। সূত্রের খবর এদিন বহরমপুর থেকে ডাক্তার দেখিয়ে বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন স্বামী-স্ত্রী ও শ্যালিকা। কিন্তু, তখনই বেলডাঙা থানা এলাকায় পিছন থেকে একটি লরি ধাক্কা মারে বলে জানা যায়। বাইক থেকে ছিটকে পড়েন জরিনা বিবি, আসমান শেখ ও মনিকা খাতুন। ছিটকে পড়েন তাঁদের সঙ্গে থাকা বছর চারেকের এক শিশুও।
স্থানীয়রা দ্রুত সকলকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তবে প্রাণে বেঁচে গিয়েছে ছোট্ট শিশুটি। মৃতদের বাড়ির মুর্শিদাবাদের সালার থানা এলাকার আন্দ্রা গ্রামে। সূত্রের খবর, এদিন বহরমপুর থেকে বেলডাঙা হয়ে গঙ্গা পেরিয়ে নিজেদের বাড়ির উদ্দেশে যাচ্ছিলেন আসমান শেখ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তখনই পিছন থেকে একটি চোদ্দ চাকার লরি তাঁদের ধাক্কা মারে বলে জানা যায়। এদিকে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার খবর গ্রামে এসে পৌঁছতেই শোকের ছায়া আন্দ্রা গ্রামে। ছেলে শোকে বিহ্বল আসমান শেখের মা-বাবাও। অন্যদিকে মা-বাবা হারিয়ে মুহূর্তেই অনাথ হয়ে পড়েছে ছোট্ট শিশুটি।
ঘটনা প্রসঙ্গে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, “আমরা তড়িঘড়ি গিয়ে আহতদের হসাপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করি। আমরা নিজেদের জামা খুলে রক্তপাত ঠেকানোর চেষ্টা করি। কিন্তু, তখনও আসেন পুলিশ। ঘটনা ঘটে যাওয়ার প্রায় আধ ঘণ্টারও বেশি পড়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। তবে বাচ্চাটা ঠিকই ছিল। ওখানেই বাচ্চাটিকে রেখে আহতদের হাসপাতালে পাঠানোর চেষ্টা করি।” ইতিমধ্যেই ঘাতক লরিটিকে আটক করেছে বেলডাঙা থানার পুলিশ। আটক করা হয়েছে চালক ও খালাসিকে। অন্যদিকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।