রানিনগর: বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঘুরতে এসেছিলেন। প্রায় মাস দেড়েক হল ভারতে এসেছেন। আত্মীয়র বাড়িতে। কিন্তু আর দেশে ফেরা হল না। সন্ধেয় শৌচালয়ে গিয়ে আচমকা অসুস্থ। আত্মীয়দের দাবি, স্ট্রোক হয়েছিল। এরপর হাতে আর বেশি সময় পাননি ওই মহিলা। প্রথমে রানিনগর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। শারীরিক অবস্থা দেখে তাঁকে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় ডোমকল মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসক ওই মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বছর সাতচল্লিশের মহিলার নাম টুলু বেগম। বাড়ি বাংলাদেশের রাজশাহীর কুরকুরিহাট এলাকায়।
মুর্শিদাবাদের রানীনগর থানা এলাকার বাহারপাড়া মুন্সিপাড়ায় ঘুরতে এসেছিলেন তিনি। এখানেই তাঁর অধিকাংশ আত্মীয়র বাড়ি। তাই পাসপোর্ট-ভিসা করিয়ে একটু বেশি সময়ের জন্যই এসেছিলেন এপার বাংলায়। ভেবেছিলেন, আত্মীয়দের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাবেন। কিন্তু, কে বা জানত যে আর দেশেই ফেরা হবে না তাঁর! স্বামী-সন্তানের মুখ আর দেখা হল না মহিলার। আজ সন্ধেয় আত্মীয়র বাড়ির শৌচালয়েই আচমকা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। কী হয়েছিল, তা এখনও জানা যায়নি। তবে মৃতার এপার বাংলার আত্মীয়দের দাবি, তাঁর স্ট্রোক হয়েছিল।
বিষয়টি টের পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে মহিলাকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী রানিনগর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান আত্মীয়রা। পরে সেখান থেকে পরিস্থিতি বুঝে তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ডোমকল মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। কিন্তু ডোমকল হাসপাতালের চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে টুলু বেগমের মৃ্ত্যুর খবরে ভেঙে পড়েছেন তাঁর আত্মীয় পরিজনরা। ঘুরতে এসে যে এভাবে তাঁর মৃত্যু হবে, তা যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তাঁরা। মৃত্যুর খবর পেতেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন টুলু বেগমের আত্মীয়-স্বজনরা।