Murshidabad Unrest: ৫ লক্ষ টাকা পুড়িয়ে দিল দুষ্কৃতীরা, চোখের জলে পোড়া নোট খুঁজছেন সামসেরগঞ্জের ঘোষ দম্পতি

Murshidabad Unrest: পোড়া বাড়ি থেকে পুড়ে যাওয়া নোটগুলি একটি থালায় তুলে রেখেছেন গণেশ ঘোষ। সেই টাকার মধ্যে রয়েছে ২০০ টাকা, ১০০ টাকার নোট। হাউ হাউ করে কেঁদে চলেছেন বৃদ্ধ গণেশ ঘোষ। বাড়ির ভেতর থেকে অন্যান্য জিনিস লুট করার পর সম্পূর্ণ জ্বালিয়ে দেয় বলে তাঁর অভিযোগ।

Murshidabad Unrest: ৫ লক্ষ টাকা পুড়িয়ে দিল দুষ্কৃতীরা, চোখের জলে পোড়া নোট খুঁজছেন সামসেরগঞ্জের ঘোষ দম্পতি
পুড়ে যাওয়া টাকা খুঁজছেন গণেশ ঘোষImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Apr 16, 2025 | 11:11 AM

মুর্শিদাবাদ: পোড়া ঘর। ছাই সরিয়ে কী যেন খুঁজে চলেছেন বাড়ির কর্তা। আর একটার পর একটা পোড়া ‘কাগজ’ হাতের থালায় রাখছেন। একটু সামনে গিয়ে দেখা গেল, থালায় পোড়া কাগজ নয়। তিনি রাখছেন পোড়া টাকার নোট। চোখের জল মুছে বললেন, সব পুড়িয়ে দিয়ে গিয়েছে। এমনই ছবি ধরা পড়ল সামসেরগঞ্জের বেতবোনায়।

বর্তমানে যে বাড়িতে থাকেন, সেই বাড়িতে পর্যাপ্ত জায়গা নেই। তাই নিজেদের জমি বিক্রি করে লাগোয়া একটি জমিতে কংক্রিটের ঢালাই দিয়ে বাড়ি তৈরি করছিলেন বেতবোনার গণেশ ঘোষ এবং তাঁর স্ত্রী সুমিত্রা ঘোষ। জমি বিক্রি করে পাঁচ লক্ষ টাকা রেখেছিলেন ঘরে। শুক্রবার রাত থেকে যে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে, তাতে ছাড় পায়নি ওই বৃদ্ধ দম্পতির বাড়িও।

ঘোষ দম্পতি

পোড়া বাড়ি থেকে পুড়ে যাওয়া নোটগুলি একটি থালায় তুলে রেখেছেন গণেশ ঘোষ। সেই টাকার মধ্যে রয়েছে ২০০ টাকা, ১০০ টাকার নোট। হাউ হাউ করে কেঁদে চলেছেন বৃদ্ধ গণেশ ঘোষ। বাড়ির ভেতর থেকে অন্যান্য জিনিস লুট করার পর সম্পূর্ণ জ্বালিয়ে দিয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। দুষ্কৃতীরা বাড়ির ভিতরে থাকা গবাদি পশুকেও ছাড় দেয়নি। একটি ঘরে আটকে জ্বালিয়ে দিয়েছে। এই কথা বলে শিউরে উঠলেন গণেশ ঘোষের স্ত্রী সুমিত্রা ঘোষ। বাড়ির খাদ্য সামগ্রী থেকে অন্যান্য জিনিসপত্র সম্পূর্ণ ছাই। হাতে পুড়ে যাওয়া টাকা নিয়ে কেঁদে চলেছেন ওই ঘোষ দম্পতি।

পুড়ে যাওয়া টাকা

তাঁদের চার ছেলে কোনওভাবে পালিয়েছেন অন্য জায়গায়। ঘোষ দম্পতি বললেন, “না পালালে আমাদের চার ছেলেকেই মেরে দিত। আমরা হাত-পা ধরে রক্ষা পেয়েছি। নতুন করে যে শুরু করব, তার ভরসাটুকু পাচ্ছি না। চারপাশে শুধুই অত্যাচার। নতুন করে যে লুট হবে না তার নিশ্চয়তা কোথায়। আমরা নতুন করে বাড়ি কিভাবে তৈরি করব? কোথায় পাব এতগুলি টাকা? আমাদের জমি জমা সব বিক্রি করে দিয়েছি। ছেলেদের ভবিষ্যতের জন্য আস্তানা তৈরি করছিলাম। সব শেষ।” বলে আবার কেঁদে উঠলেন ঘোষ দম্পতি।