Adhir Chowdhury: ‘কান ধরে ওঠবোস করে ক্ষমা চান দিদির দলের লোক’

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Nov 17, 2021 | 6:07 PM

Udayan Guha: উদয়নের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে কার্যত নিন্দার ঝড় রাজনৈতিক মহলে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালও কড়া ভাষায় এই মন্তব্যের নিন্দা করেছেন।

Follow Us

মুর্শিদাবাদ: বিএসএফ-এর এক্তিয়ার বৃদ্ধি নিয়ে বিধানসভায় প্রবল হট্টগোল। বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীনই বিএসএফকে নিশানা করে তীর্যক মন্তব্য করেন দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ (Udayan Guha)।  তাঁর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে কার্যত তুঙ্গে ওঠে রাজনৈতিক তরজা। পাল্টা উদয়নকে নিশানা করে তোপ দাগেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)।

অধীর এদিন বলেন, “বিএসএফকে নিয়ে এমন মন্তব্য করা উচিত নয়। দিদির দলের যে লোক এই মন্তব্য করেছেন তাঁর উচিত বিএসএফের কাছে ক্ষমা চেয়ে কান ধরে ওঠবোস করা। সব বিএসএফ আমাদের শত্রু হয়ে গেল, সব বিএসএফ মহিলাদের উপর অত্যাচার করেন এটা কী কথা! বিএসএফ-এ কি কেবল পুরুষরাই কাজ করেন। কাজ করেন মহিলারাও। তাহলে কি তারা সবাই মিলে মহিলাদের উপর অত্যাচার করেন! দিদির দলের যে নেতা এই মন্তব্য করেছেন তাঁর অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়া উচিত।”

বিধানসভার অধিবেশনে ঠিক কী মন্তব্য করেছিলেন উদয়ন? তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “১৫০০ কিলোমিটার কাঁটা তারের বেড়া রয়েছে। এরপরও গরু, ছাগল কোনও ভাবেই প্রবেশ করতে পারে না। আর যদি সেটা হয়, তবে বুঝতে হবে এতে বিএসএফ-এর মদত আছে।”

তিনি আরও বলেন, “১০ টি জেলার ৬৫টি ব্লক বিএসএফ-এর অধীনে রয়েছে। ওদের অত্যাচার যে দেখেনি, সে জানে না। সাতটি জেলা শহরকে বিএসএফ-এর অধীনে নিয়ে আসার চক্রান্ত চলছে। এখানে সাম্রাজ্যবাদের দালাল, সাম্প্রদায়িক শক্তি প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে। বাংলার ক্ষেত্রে ১৫ কিলোমিটারকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করা হচ্ছে। নিজেদের শাসন যেখানে আছে, সেখানে এলাকা কমানো হচ্ছে।” তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “তল্লাশির নাম করে সন্তানের সামনে মায়েদের গোপনাঙ্গে হাত দিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে। ছেলের সামনে বাবাকে কান ধরাচ্ছে। সেই সন্তান কী করে দেশপ্রেমিক হবে!”

উদয়নের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে কার্যত নিন্দার ঝড় রাজনৈতিক মহলে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালও কড়া ভাষায় এই মন্তব্যের নিন্দা করেছেন। এদিকে উদয়নের মন্তব্যের পাল্টা বিএসএফের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ‘বিএসএফ হল একটি পেশাদার বাহিনী। সর্বদা নিয়ম-বিধি মেনেই কর্তব্য পালন করে বিএসএফ।’ বিএসএফ-এর এক আধিকারিক বলেন, ‘বিএসএফ-এর মহিলা প্রহরীরাই মহিলাদের তল্লাশি চালায়। তাই মহিলাদের অশ্লীলভাবে স্পর্শ করার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কখনও অপেশাদার কাজ করি না। আমরা আইন- শৃঙ্খলা কঠোরভাবে মেনে চলি। সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে বিশেষত মহিলাদের ক্ষেত্রে আমরা সবসময় মহিলা জওয়ানদের উপস্থিতি নিশ্চিত করি।’

শুধু বিরোধীরাই নয়, বিধানসভায় উদয়নের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হন খোদ অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি- তৃণমূল দুই পক্ষকেই সংযত হওয়ার কথা বলেন তিনি। আলোচনার ক্ষেত্র যাতে বিঘ্নিত না হয়, সব সদস্যদের সেটা দেখার আবেদন জানান তিনি।  বিধায়ক আরও বলেন, ‘১০ টি জেলার ৬৫টি ব্লক বিএসএফ-এর অধীনে রয়েছে। ওদের অত্যাচার যে দেখেনি, সে জানে না। সাতটি জেলা শহরকে বিএসএফ-এর অধীনে নিয়ে আসার চক্রান্ত চলছে। এখানে সাম্রাজ্যবাদের দালাল, সাম্প্রদায়িক শক্তি প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে। বাংলার ক্ষেত্রে ১৫ কিলোমিটারকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করা হচ্ছে। নিজেদের শাসন যেখানে আছে, সেখানে এলাকা কমানো হচ্ছে।’

উল্লেখ্য, বিএসএফ-এর এক্তিয়ার বৃদ্ধির বিরোধিতা করে আজ সরকারি প্রস্তাব আনা হয়েছিল বিধানসভায়। ভোটাভুটিতে পাস হয়ে গিয়েছে সেই প্রস্তাব। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ১১২টি ও বিপক্ষে ভোট পড়েছে ৬৩টি। বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ালে সংবিধানের বিরোধিতা করা হবে বলে দাবি তৃণমূল সরকারের। এই ইস্যুতেই এ দিন সরব হয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়কেরা। কেন্দ্রীয় সরকার বিএসএফের এলাকাবৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা আদতে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপরে আঘাত, এই মর্মেই সরকারি প্রস্তাব আনা হয় মঙ্গলবার।

দেখুন ভিডিয়ো:

আরও পড়ুন: Nandigram: পড়ে রয়েছে ভাঙা ঘর, আবাস যোজানার টাকা খরচ হচ্ছে অন্য খাতে, গ্রেফতার ৪!

 

 

 

মুর্শিদাবাদ: বিএসএফ-এর এক্তিয়ার বৃদ্ধি নিয়ে বিধানসভায় প্রবল হট্টগোল। বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীনই বিএসএফকে নিশানা করে তীর্যক মন্তব্য করেন দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ (Udayan Guha)।  তাঁর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে কার্যত তুঙ্গে ওঠে রাজনৈতিক তরজা। পাল্টা উদয়নকে নিশানা করে তোপ দাগেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)।

অধীর এদিন বলেন, “বিএসএফকে নিয়ে এমন মন্তব্য করা উচিত নয়। দিদির দলের যে লোক এই মন্তব্য করেছেন তাঁর উচিত বিএসএফের কাছে ক্ষমা চেয়ে কান ধরে ওঠবোস করা। সব বিএসএফ আমাদের শত্রু হয়ে গেল, সব বিএসএফ মহিলাদের উপর অত্যাচার করেন এটা কী কথা! বিএসএফ-এ কি কেবল পুরুষরাই কাজ করেন। কাজ করেন মহিলারাও। তাহলে কি তারা সবাই মিলে মহিলাদের উপর অত্যাচার করেন! দিদির দলের যে নেতা এই মন্তব্য করেছেন তাঁর অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়া উচিত।”

বিধানসভার অধিবেশনে ঠিক কী মন্তব্য করেছিলেন উদয়ন? তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “১৫০০ কিলোমিটার কাঁটা তারের বেড়া রয়েছে। এরপরও গরু, ছাগল কোনও ভাবেই প্রবেশ করতে পারে না। আর যদি সেটা হয়, তবে বুঝতে হবে এতে বিএসএফ-এর মদত আছে।”

তিনি আরও বলেন, “১০ টি জেলার ৬৫টি ব্লক বিএসএফ-এর অধীনে রয়েছে। ওদের অত্যাচার যে দেখেনি, সে জানে না। সাতটি জেলা শহরকে বিএসএফ-এর অধীনে নিয়ে আসার চক্রান্ত চলছে। এখানে সাম্রাজ্যবাদের দালাল, সাম্প্রদায়িক শক্তি প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে। বাংলার ক্ষেত্রে ১৫ কিলোমিটারকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করা হচ্ছে। নিজেদের শাসন যেখানে আছে, সেখানে এলাকা কমানো হচ্ছে।” তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “তল্লাশির নাম করে সন্তানের সামনে মায়েদের গোপনাঙ্গে হাত দিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে। ছেলের সামনে বাবাকে কান ধরাচ্ছে। সেই সন্তান কী করে দেশপ্রেমিক হবে!”

উদয়নের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে কার্যত নিন্দার ঝড় রাজনৈতিক মহলে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালও কড়া ভাষায় এই মন্তব্যের নিন্দা করেছেন। এদিকে উদয়নের মন্তব্যের পাল্টা বিএসএফের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ‘বিএসএফ হল একটি পেশাদার বাহিনী। সর্বদা নিয়ম-বিধি মেনেই কর্তব্য পালন করে বিএসএফ।’ বিএসএফ-এর এক আধিকারিক বলেন, ‘বিএসএফ-এর মহিলা প্রহরীরাই মহিলাদের তল্লাশি চালায়। তাই মহিলাদের অশ্লীলভাবে স্পর্শ করার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কখনও অপেশাদার কাজ করি না। আমরা আইন- শৃঙ্খলা কঠোরভাবে মেনে চলি। সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে বিশেষত মহিলাদের ক্ষেত্রে আমরা সবসময় মহিলা জওয়ানদের উপস্থিতি নিশ্চিত করি।’

শুধু বিরোধীরাই নয়, বিধানসভায় উদয়নের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হন খোদ অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি- তৃণমূল দুই পক্ষকেই সংযত হওয়ার কথা বলেন তিনি। আলোচনার ক্ষেত্র যাতে বিঘ্নিত না হয়, সব সদস্যদের সেটা দেখার আবেদন জানান তিনি।  বিধায়ক আরও বলেন, ‘১০ টি জেলার ৬৫টি ব্লক বিএসএফ-এর অধীনে রয়েছে। ওদের অত্যাচার যে দেখেনি, সে জানে না। সাতটি জেলা শহরকে বিএসএফ-এর অধীনে নিয়ে আসার চক্রান্ত চলছে। এখানে সাম্রাজ্যবাদের দালাল, সাম্প্রদায়িক শক্তি প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে। বাংলার ক্ষেত্রে ১৫ কিলোমিটারকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করা হচ্ছে। নিজেদের শাসন যেখানে আছে, সেখানে এলাকা কমানো হচ্ছে।’

উল্লেখ্য, বিএসএফ-এর এক্তিয়ার বৃদ্ধির বিরোধিতা করে আজ সরকারি প্রস্তাব আনা হয়েছিল বিধানসভায়। ভোটাভুটিতে পাস হয়ে গিয়েছে সেই প্রস্তাব। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ১১২টি ও বিপক্ষে ভোট পড়েছে ৬৩টি। বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ালে সংবিধানের বিরোধিতা করা হবে বলে দাবি তৃণমূল সরকারের। এই ইস্যুতেই এ দিন সরব হয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়কেরা। কেন্দ্রীয় সরকার বিএসএফের এলাকাবৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা আদতে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপরে আঘাত, এই মর্মেই সরকারি প্রস্তাব আনা হয় মঙ্গলবার।

দেখুন ভিডিয়ো:

আরও পড়ুন: Nandigram: পড়ে রয়েছে ভাঙা ঘর, আবাস যোজানার টাকা খরচ হচ্ছে অন্য খাতে, গ্রেফতার ৪!

 

 

 

Next Article