সালার: দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করে স্বামী-স্ত্রী মিলে ঘুমাতেও গিয়েছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই শান্ত পরিবেশে অশান্তির সুর। চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে ঘরে যেতেই চোখ কপালে উঠে গেল পরিবারের সদস্যদের। দেখা গেল ঘরে পড়ে আছে বাড়ির ছেলের নিথর দেহ। পাশ থেকে ছুটে পালিয়ে যাচ্ছে বাড়ির বউ। মুহূর্তেই সবটা পরিষ্কার হয়ে যায় সকলের চোখে। ধরাও পড়ে যায় ওই গৃহবধূ। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন ওই গৃহবধূর পরকীয়ার কারণেই যত সমস্যা। স্ত্রীর পরকীয়া মানতে পারেনি স্বামী, তাই দিতে হয়েছে প্রাণ। এমনটাই অভিযোগ পরিবারের সদস্যদের। চাঞ্চল্যকর ঘটনা মুর্শিদাবাদ জেলার সালার থানার কাগ্রামের মীর পাড়ায়।
এই এলাকাতেই থাকতেন চন্দন শেখ (২৮)। তার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল খাদিজা খাতুনের। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, বিয়ের পরেই স্ত্রীর পরকীয়ার কথা জানতে পারেন চন্দন। তা নিয়ে দু’জনের মধ্যে ঝামেলা বাড়তেও থাকে। সম্প্রতি তা একেবারে চরমে উঠে যায়। পরিবারের লোকজন আরও বলছেন, খাদিজা প্রয়াশই সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিত। যে যুবকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক রয়েছে তাঁর সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার কথাও বলতো। তা নিয়ে ব্যাপক অশাব্তিও হতো বাড়িতে।
এদিকে এদিন দুপুরে নামাজ সেরে বাড়ি ফিরে খাওয়া দাওয়া করে স্বামী-স্ত্রী। তারপর ঘুমাতেও যায়। এরইমধ্যে চন্দন শেখের মা, ভাইয়েরা উপরে চিৎকার চেঁচামেঁচি শুনতে পান। তাঁরা বলছেন, উপরে যেতেই দেখা যায় খাদিজা পালিয়ে যাচ্ছে। নিথর দেহ পড়ে রয়েছে চন্দনের। জানাজানি হতেই গ্রামের লোক ধরে ফেলে খাদিজাকে। এরইমধ্যে তাঁর মাও চলে আসে। সালার থানার পুলিশ আপাতত মা ও মেয়েকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি চন্দনের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় রয়েছে চাপা উত্তেজনা।